
কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ | বঙ্গবন্ধু টানেল অনুচ্ছেদ
আপনি কি কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ খুঁজছেন? যদি খুঁজে থাকেন তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আর্টিকেলটি থেকে আপনি কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ খুঁজে পেয়ে যাবেন যা আপনি আপনার প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন। যেমনঃ এ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য, পড়াশুনার ক্ষেত্রে ইত্যাদি।
তাহলে চলুন কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদটি দেখে নেওয়া যাক। নিম্নে অনুচ্ছেদটি দিয়ে দিলাম। আপনি পড়ে নিবেন।
আরো পড়ুনঃ
- কর্ণফুলী টানেল | কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন ছবি সহ [দৈর্ঘ্য, রচনা, সাধারণ জ্ঞান]
- বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন
- বাংলাদেশের সেরা মাদ্রাসার তালিকা ২০২৩ | ১০ টি সেরা মাদ্রাসা
কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ
কর্ণফুলী টানেলের মূল নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। একে সংক্ষেপে বলা হয় বঙ্গবন্ধু টানেল। কর্ণফুলী নদীর নিচে টনেলটির অবস্থান থাকার কারণে জনসাধারণের কাছে টানেলটি কর্ণফুলী টানেল নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশের বড় বড় মেগা প্রকল্পের মধ্যে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প বা বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প অন্যতম একটি।
কর্ণফুলী টানেল কর্ণফুলী নদীর দুই তীরকে সংযুক্ত করে। এই টানেলটির মধ্যে ধাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংযুক্ত হবে। ফলে আরো কম সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার যাওয়া যাবে। কর্ণফুলী টানেল বা বঙ্গবন্ধু টানেলটির দৈর্ঘ্যে ৩.৪৩ কিলোমিটার।
টানেলটি সম্পূর্ণ রূপে শেষ হলে এটি হবে বাংলাদেশের প্রথম টানেল বা সুড়ঙ্গ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদী তলদেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ। কর্ণফুলীর নদীর মধ্যভাগে সুড়ঙ্গটি অবস্থান করবে ১৫০ মিটার ফুট গভীরে।
২০১৬ সালের ১৮ই অক্টোবর টানেলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং ভিত্তিপ্রস্তরটি স্থাপন করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কর্ণফুলী টানেল বা বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভোধন করেন। টানেলটি এখনো নির্মাধীন অবস্থায় রয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে টানেলটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা শেষ হয়নি। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে টানেলটি উদ্ভোধণ হওয়ার কথা।
টানেলটির নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে এবং বাকী টাকা বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে ২০ বছর মেয়াদী ঋণ নেওয়া হয়েছে এবং সুদের হার ২ শতাংশ।
শেষ কথা
এই ছিল কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ নিয়ে আমাদের আর্টিকেল। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগেছে। আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে সেই সম্পর্কে মতামত জানাতে কমেন্ট করতে পারেন। আর্টিকেলে দেওয়া কর্ণফুলী টানেল বা বঙ্গবন্ধু টানেল সম্পর্কিত সকল তথ্য উইকিপিডিয়া এবং বিভিন্ন নিউজ মাধ্যম থেকে নেওয়া হয়েছে। যদি কোন তথ্য ভুল থাকে তাহলে আমাদেরকে সেটি জানাতে কমেন্ট করতে পারেন। আমরা তথ্যটি সংশোধন করে দিব।
ধন্যবাদ আপনাকে এতক্ষণ আমাদের সাথে যুক্ত থাকার জন্য। নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের আরো অনেক আর্টিকেল পেতে।