চিঠির খাম লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন [ইংরেজি ও বাংলায়]
চিঠির খাম লেখার নিয়ম নিয়ে লেখা এই আর্টিকেলটিতে আপনাকে স্বাগতম। আপনি যদি চিঠির খাম লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহল এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে এই সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন।
বর্তমানের এই আধুনিক যুগে চিঠি লেখার চর্চা অনেক কম। চিঠির পরিবর্তে আমরা বর্তমানে ইমেইল এর ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু তার পরেও চিঠি লেখার প্রয়োজন পড়ে ও তা সঠিক গন্তব্য পৌছানোর। কিছু চিঠির লেখার ও চিঠি পাঠানোর চর্চা না থাকার কারণ আমরা চিঠির খাম লেখার নিয়ম অনেকেই ভুলে গেছি বা হয়তো অনেকেই জানেনই না চিঠির খাম লেখার নিয়ম সম্পর্কে।
- চিঠি লেখার নিয়ম ছবি সহ
- ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি
- ভালোবাসার চিঠি | ভালোবাসার প্রথম প্রেমের চিঠি
- দরখাস্ত লেখার নিয়ম | আবেদন পত্র লেখার নিয়ম ছবি ও ভিডিও সহ
- দরখাস্তঃ স্কুল/ কলেজে অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদন পত্র
তাহলে চলুন আর দেরি কেন আপনার এই ভুলে যাওয়া বিষয়টি আবারো মনে করে নিন। আর যদি এই সম্পর্কে না জানেন তাহলে এই আর্টিকেল থেকে শিখে নিবেন।
Table of Contents
চিঠির খাম লেখার প্রয়োজনীয়তা
চিঠির খাম লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন আসলে এর প্রয়োজনীয়তা কি। সহজভাবে বলতে গেলে চিঠি সঠিক গন্তব্যে পৌছে দেওয়ার জন্য চিঠির খামে বিভিন্ন তথ্য লিখে দিতে হয়। অর্থাৎ চিঠির খামে ঠিকানা লিখে দিতে হয় যায় কাছে চিঠিটি পৌছাবে। এর পাশাপাশি নিজের ঠিকানাও।
নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চিঠির খামে ঠিকানা ও অন্য সকল তথ্য লিখতে হয়। তা না হলে চিঠি সঠিক জায়গায় পৌছাবে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন চিঠির খাম লেখার প্রয়োজনীয়তা কি। এবার চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এর নিয়ম সম্পর্কে এখনি জেনে বা শিখে নেই।
চিঠির খাম লেখার নিয়ম
বাংলাতে কিংবা ইংরেজিতে যেকোন ভাষার যেকোন দেশের চিঠির খাম লেখার নিয়ম একই। আমি যে নিয়ম দেখাবো সেই নিয়ম অনুসরণ করে চিঠির খাম লিখবেন। আশা করি তাহলে কোন প্রকার সমস্যা হবে না। নিম্নে ধাপে ধাপে এই নিয়মটি আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।
চিঠির খাম লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলের এই ধাপগুলো অনুসরণ করুন। প্রতিটি ধাপে ছবি সহকারে নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে।
Total Time: 5 minutes
চিঠির খামটি হাতে নিন এবং লেখার জায়গা নির্বাচন করুন
চিঠির খাম লেখার আগে আমাদেরকে সবার প্রথমে খামটিকে হাতে নিয়ে লেখার জায়গা নির্বাচন করতে হবে। চিঠির খামের যে পাশে কোন দাগ নেই সেই পাশটি হলো লেখার দিক। এই দিকে আপনাকে চিঠির খামে লেখার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো লিখতে হবে।
চিঠির খামে ডাকটিকিট লাগিয়ে নিন
আপনার চিঠির খামে যদি ডাকটিকিট লাগানো না থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডাকটিকিট লাগিয়ে নিতে হবে। ডাকটিকিটি চিঠির খামের ডানদিকের উপর দিকে বসাতে হবে। ভালোভাবে বোঝার জন্য উপরের চিত্রটি লক্ষ্য করুন। কত টাকার ডাকটিকিট বসাতে হবে সেটি নির্ভর করবে গন্তব্যস্থল কত দূর। এ সম্পর্কে ভালোভাবে জানার জন্য ডাক অফিসে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য জেনে নিতে পারেন।
খামটিকে মনে মনে বাম ও ডান দুই ভাবে ভাগ করে নিন
এবার খামটিকে মনে মনে দুই ভাগে ভাগ করে নিন। বাম পাশ এবং ডান পাশ। আপনি চাইলে চিঠির খামের মাঝখান বরাবর একটি দাগ টেনে নিতে পারেন। যদি দাগ নাও টানেন তাহলেও কোন প্রকার সমস্যা নেই।
চিঠির খামের বাম পাশে প্রেরকের ঠিকানা লিখুন
এবার আপনাকে চিটির বাম দিকে প্রেরকের নাম ও ঠিকানা সঠিক তথ্য দিয়ে লিখতে হবে। প্রেরক মানে হচ্ছে আপনি। তাই এখানে আপনার সকল তথ্য থাকবে। ঠিকানায় অবশ্যই গ্রামের নাম, পোস্ট অফিসের নাম ও পোস্ট অফিসের কোড দিতে হবে। আর আপনি চাইলে ঠিকানায় আপনার মোবাইল নাম্বারও বসাতে পারেন। আর ইংরেজিতে চিঠির খাম লেখার ক্ষেত্রে সকল তথ্য ইংরেজিতে লিখবেন এবং প্রেরকের জায়গায় From লিখে দিবেন।
চিঠির খামের ডান পাশে প্রাপকের ঠিকানা লিখুন
চিঠির খামের বাম পাশে প্রেরকের নাম ও ঠিকানা লেখা হয়ে গেলে আমাদেরকে এখন এর ডান পাশে প্রাপকের নাম, ঠিকানা লিখতে হবে। প্রাপক মানে হচ্ছে যিনি চিঠিটি পাবেন। প্রাপকের ঠিকানা লেখার আগে অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবে। ভালো করে দেখে নিবেন বানান ঠিক আছে কি না। আর সম্ভব হলে প্রাপকের মোবাইল নাম্বার এখানে দিয়ে দিবেন। এতে করে প্রাপকের নিকট চিঠি পৌছে যাওয়া সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। আর ইংরেজিত চিঠির খাম লেখার সময় সব কিছু ইংরেজিতে লিখবেন এবং প্রাপকের জায়গায় To লিখে দিবে।
চিঠির খামের ডান পাশে নিচের দিকে পোস্টকোড লিখুন
চিঠির খামের ডানদিকের নিচে আপনি পোস্ট লেখার একটি বক্স দেখতে পারবেন। যদি দেখতে পান তাহলে সেখানে প্রাপকের ঠিকানার পোস্টকোড লিখে দিবেন। যদি দেখতে না পান তাহলে হাতে লিখে দিবে। সাধারণ খামে এই পোস্টকোড বক্স লেখা থাকে না। আর পোস্টকোড আলাদা ভাবে লিখে দেওয়া ভালো।
এভাবে এই ৬টি ধাপ সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনি চিঠির খাম লিখতে পারবেন। চিঠির খাম লেখার নিয়ম প্রক্রিয়াটি আসলেই অনেক সহজ। আর আমরা আরো সহজতর ভাবে আর্টিকেলে তুলে ধরার চেস্টা করেছি।
পরীক্ষার খাতায় চিঠির খাম লেখার নিয়ম
এই আর্টিকেলে হয়তো এমনো অনেকেই পড়ছেন যারা শিক্ষার্থী। তারা হয়তো জানতে চাচ্ছিন যে পরীক্ষার খাতায় চিঠির খাম লেখার নিয়ম কি। এই আর্টিকেলে যে নিয়মটি দেখানো হয়েছে সেই নিয়মটি অনুসরণ করে পরীক্ষার খাতায় চিঠির খাম অংক করতে হবে। কেননা পরীক্ষার খাতায় আমরা চিঠির খাম পাব না। তাই চিঠি লেখা শেষে আমাদেরকে খাম অংকন করে দিতে হবে। আপনার বোঝার সুবিধার্তে নিম্নে এর একটি ছবি দিয়ে দিলাম।
উপসংহার
এই ছিল চিঠির খাম লেখার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের এই আর্টিকেল। আশা করছি এই আর্টিকেলটি থেকে চিঠির খাম লেখার নিয়ম ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি বুঝতে আপনার কোন সমস্যা হলে অথবা আর্টিকেলটি নিয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন। আমি চেস্টা করব আপনার প্রশ্নের যথার্থ উত্তর দেওয়ার।
এছাড়াও আর্টিকেলটি নিয়ে আপনার যেকোন মতামত কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে টিউনবিএনে ভিজিট করে এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। সম্ভব হলে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন আপনার বন্ধু-বান্ধবের সাথে যাতে করে তারাও এই সম্পর্কে জানতে পায়।