জন্ম নিবন্ধন অনলাইন | Birth Certificate Online নিয়ে বিস্তারিত
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন নিয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত একটি আর্টিকেল। জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কিত সকল কিছু আর্টিকেলটিতে পাবেন।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন (Birth Certificate Online) নিয়ে লেখা আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম। এই আর্টিকেলে আমরা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন নিয়ে সকল বিষয় আলোচনা করব। আপনি যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে চান, চেক করতে চান, ডাউনলোড করতে চান, PDF ফাইল চান ইত্যাদি সকল কিছু পাবেন আর্টিকেলটিতে। তাই মনযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
জন্ম নিবন্ধন (Jonmo Nibondhon) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট আমাদের সকলের জন্য বিশেষ করে যাদের বয়স এখনো ১৮ হয়নি বা যাদের ভোটার আইডি কার্ড নেই। ভোটার আইডি কার্ডের পরিবর্তে জন্ম সনদ ব্যবহার করে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।
- ফেসবুক স্ট্যাটাস স্মার্ট কালেকশন
- শুভ জন্মদিন মেসেজ, জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস ও বার্তা
- বিবাহ বার্ষিকী শুভেচ্ছা ছবি সহ
- সৌদি মেয়েদের ইসলামিক নাম
Table of Contents
জন্ম নিবন্ধন কি?
সহজ কথায় জন্ম নিবন্ধন হলো একটি ডকুমেন্ট যেটি আপনার বয়স কত, আপনি কোন দেশের নাগরিক, পিতা মাতার নাম, জন্ম স্থান ইত্যাদির তথ্যর প্রমাণ বহণ করে।
১৮ বয়সের কম সকল নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন থাকা বাধ্যতামূলক। যেহেতু বর্তমানে বাংলাদেশ ডিজিটল মুখী হচ্ছে তাই জন্ম নিবন্ধনের সকল ডেটা অনলাইনে রয়েছে। যেটিকে আমরা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি বলে থাকি। জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপি থাকলে সেই জন্ম নিবন্ধনটিকে আসল বলে গণ্য করা হয়। আর বাসায় বসে অনেক সহজেই জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা যায়।
জন্ম নিবন্ধন কি কি কাজে লাগে?
জন্ম নিবন্ধন বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের কাজে লাগে। তবে এর উল্লেখযোগ্য ব্যবহার সমূহ নিম্নে তুলে ধরা হলো!
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির কাজে
- জাতীয় পরিচয় পত্র পেতে
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে
- বিবাহ নিবন্ধনে
- জমি রেজিস্ট্রশনে
- পাসপোর্ট ইস্যু করতে
ইত্যাদি ক্ষেত্রে। তবে, শিক্ষা ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সবচেয়ে বেশী পরিমাণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন
জন্ম নিবন্ধন যদি অনলাইনে অ্যাভেইলবল থাকে তাহলে সেই জন্ম নিবন্ধনকে Jonmo Nibondhon Online Copy বলা যায়। Bdris এর ওয়েবসাইট থেকে এই তথ্য চেক করা যায়। শুধু চেক করা নয় নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদনও করা যায় এই ওয়েবসাইটটি থেকে। এছাড়াও জন্ম নিবন্ধনে কোন প্রকার ভুল থাকলে সেটি সংশোধনও করতে পারবেন। এক কথায় Bdris ওয়েবসাইটি থেকে জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কিত সকল সেবা পাবেন।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদনের জন্য যা প্রয়োজন
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু তথ্য/ কাগজপাতির প্রয়োজন পড়বে। যার মাধ্যমে প্রমাণ করা যাবে সঠিক বয়স ও পিতা মাতার নাম। নিম্নে এসব কিছু প্রয়োজনীয় উপকরণের তালিকা দেওয়া হলো –
- পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র
- জন্ম স্থান প্রমাণ পত্র
- কোন স্কুলে অধ্যায়নরত থাকলে সেই স্কুলের প্রশংসাপত্র
- ইপিআই (টিকা) কার্ড (০ থেকে ৪৫ দিনের শিশুর ক্ষেত্রে)
- আবেদনকারীর সচল মোবাইল নাম্বার (পিতা/ মাতার)
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন
বর্তমানে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করতে হয়। অনলাইন আবেদন ছাড়া আপনি জন্ম নিবন্ধন পাবেন না। জন্ম নিবন্ধনের সকল ডেটা অনলাইনে bdris ওয়েবসাইটের সার্ভারে স্টোর করা আছে। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যে জেলা পরিষধ কার্যালয় থেকে আবেদন করা জন্ম নিবন্ধনের আসল কপি পেয়ে যাবেন।
জন্ম নিবন্ধন কিভাবে অনলাইন করবেন তা সঠিকভাবে জানার জন্য ধাপে ধাপে নিচের পদ্ধতিগুলো মেনে চলুন। সঠিকভাবে সকল প্রক্রিয়া অনুযায়ী কাজ করলে আপনি ঘরে বসে Birth Certificate Online কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন। কাজের প্রক্রিয়া অনেক সহজ।
Total Time: 10 minutes
bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
প্রথমে আপনাকে bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। কেননা এই ওয়েবসাইটটি থেকেই আমরা জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদন করব। ওয়েবসাইটের লিংক – https://bdris.gov.bd/br/application। চেস্টা করবেন এই কাজগুলো কম্পিউটারে সাহায্যে করার জন্য। তবে মোবাইল দিয়েও করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে করার চেয়ে কম্পিউটার দিয়ে করলে আপনি সহজেই কাজগুলো করতে পারবেন।
আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন
ওয়েবসাইটে ভিজিট করার পর আপনি উপরের স্কিনশটের মতোন একটি ইন্টারফেজ পাবেন। এখানে আপনাকে একটি প্রশ্ন করা হবে। প্রশ্নটি হলো, “জন্ম নিবন্ধন সনদ আপনার কোন ঠিকানার অফিস থেকে সংগ্রহ করতে চান”। আপনি যেখান থেকে সংগ্রহ করতে চান সেই অপশটি সিলেক্ট করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ
পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার পর আপনি উপরের স্কিনশটের মতোন একটি ফর্ম দেখতে পারবেন। এবার, এই ফর্মটি আপনাকে সঠিক সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। কোন প্রকার ভুল তথ্য দেওয়া যাবে। আর ফর্ম পূরণ করার সময় অবশ্যই আপনাকে বানানের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি বানান ভুল দেন তাহলে বানান সংশোধনে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। পিতা ও মাতার নাম অবশ্যই আপনার পিতা মাতার আইডি কার্ডের (ভোটার আইডি কার্ড/ জাতীয় পরিচয় পত্র) সাথে মিল রেখে দিবেন। সকল তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
পিতা মাতার তথ্য পূরণ
এবার আপনার কাছ থেকে আপনার পিতা মাতার তথ্য চাইবে। এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করে নিন। পিতা মাতার নামের বানানের দিকে খেয়াল রাখবেন যেন ভুল না হয়। তথ্য দেওয়া সম্পূর্ণ হলে আবারো পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
আরো কিছু তথ্য, মোবাইল নাম্বার ও আবেদন ডাউনলোড
পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার পরে আপনার কাছ থেকে আরো কিছু তথ্য চাইতে পারে। সেই তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। পূরণ করার পর আপনার কাছ থেকে মোবাইল নাম্বার চাইবে। আপনি আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরর্তীতে যান।
পরবর্তীতে গেলে আপনি আবেদনের একটি ফাইল ডাউনলোড লিংক পাবেন এবং এটিকে ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করার পর এটিকে প্রিন্ট করে ১৫ দিনের মধ্যে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। এই প্রিন্ট করা কাগজটি অবশ্যই সত্যায়িত হতে হবে এবং এর সাথে আরো কিছু ডকুমেন্ট যেমনঃ পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি থাকতে হবে।
এভাবে আপনি খুব সহজে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার কাগজটি জেলা পরিষদ কার্যালয়ে জমা দানের পর তাতক্ষণিক অথবা ১৫ দিনের মধ্য জন্ম নিবন্ধনের কপি পেয়ে যাবেন।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন নিয়ে আরো কিছু
জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কিত আরো কিছু আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা আছে। আপনি চাইলে এই আর্টিকেল চেক করতে পারেন।
জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড PDF | জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড Pdf 2023 |
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক | জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক করার নিয়ম 2023 |
জন্ম নিবন্ধন যাচাই | জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার সঠিক নিয়ম দেখে নিন | অনলাইনে PDF সহ |
জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে করোনার টিকা | জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে করোনা টিকার আবেদন করার নিয়ম |
আইডি কার্ড বের করা | আইডি কার্ড বের করার নিয়ম ২০২৩ |
নতুন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন
যখন আপনি নতুন করে কোন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন তখন তা আপনা-আপনি অনলাইন করণ করা হয়ে যাবে। এজন্য আপনাকে আলাদা করে কিছু করতে হবে না। উপরে দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি নতুন করে Birth certificate/ Jonmo Nibondhon এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করণ করতে হলে আপনাকে আবার নতুন করে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে। পুরাতনে থাকা জন্ম নিবন্ধনের ডেটাগুলো দিয়ে নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন ফি কত
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনকরণ সরকারি ফি ১০০ (একশত টাকা)। আপনি যদি কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে তাদের কাছ আবেদন করে নেন তাহলে তারা আরো কিছু অতিরিক্ত ফি নিবে তাদের জন্য। ১০০ টাকা ছাড়া আর কোন সরকারি ফি নেই।
শেষ কথা
এই ছিল নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। আশা করছি এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি এই বিষয়ে বিস্তারিত সকল কিছু জানতে পেরেছেন। যদি কোন তথ্য মিস হয়ে যায় এবং যদি তা আপনি জানতে চান তাহলে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানান। আমি চেস্টা করব সেই তথ্য আপডেট করার।
ধন্যবাদ আপনাকে টিউনবিএনে ভিজিট করে আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।