বঙ্গবন্ধু কবিতা | বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা
আপনি কি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা খুঁজছেন? যদি খুঁজে থাকেন তবে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি বঙ্গবন্ধু কবিতা, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা, বঙ্গবন্ধু নিয়ে কবিতা আবৃত্তি, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটদের কবিতা পেয়ে যাবেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৭ ই মার্চ গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে নিয়ে অনেক কবি, সাহিত্যিক অনেক কবিতা লিখেছেন।
আরো পড়ুনঃ
- ১৩টি অসাধারণ একুশে ফেব্রুয়ারি কবিতা ২০২৩
- ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস কবিতা | ২৫ মার্চ কালো রাত কবিতা
- ২৬ শে মার্চ এর কবিতা | স্বাধীনতা দিবসের কবিতা
- ১০টি সেরা বসন্তের কবিতা | বসন্ত এসে গেছে
তাকে নিয়ে লেখা কিছু কবিতা আপনি যদি পড়তে চান তবে তা আমাদের এই আর্টিকেলটি পাবেন। অনেক সুন্দর সুন্দর এ সম্পর্কিত কবিতা আর্টিকেলটিতে রয়েছে। কবিতাগুলো পড়ার পাশাপাশি আবৃত্তিও করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিবেশন করতে পারেন কিংবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মদিনের দিন তাকে নিয়ে একটি কবিতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন।
তাহলে চলুন আর্টিকেলে থাকা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতাগুলো দেখে নেওয়া যাক।
Table of Contents
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা অনেক কবিতা রয়েছে। চলুন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কবিতা কবির নামসহ দেখে নেওয়া যাক।
বঙ্গবন্ধু মানে – আবু জাফর বিঃ
বঙ্গবন্ধু মানেই বায়ান্ন, ছেষট্টি, ঊনসত্তর,
বঙ্গবন্ধু মানেই উত্তাল ঊনিশশো একাত্তর।
বঙ্গবন্ধু মানেই সাতই মার্চ, দশই জানুয়ারী,
বঙ্গবন্ধু মানেই ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর বাড়ী।
বঙ্গবন্ধু মানেই গর্জে উঠা মুক্তিবাহিনীর হাতিয়ার,
বঙ্গবন্ধু মানেই একাত্তরের ষোলই ডিসেম্বর।
বঙ্গবন্ধু মানেই গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া,
বঙ্গবন্ধু মানেই পাক-হায়েনা দেশছাড়া।
বঙ্গবন্ধু মানেই পদ্মা, মেঘনা, সুরমা, যমুনা,
বঙ্গবন্ধু মানেই মিছিলের উদ্দীপণা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
বঙ্গবন্ধু মানেই দামাল ছেলেরা উঠেছিল মাতিয়া,
বঙ্গবন্ধু মানেই সুদূর টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া।
বঙ্গবন্ধু মানেই পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ,
বঙ্গবন্ধু মানেই লাল সবুজে পতাকার রেশ।
বঙ্গবন্ধু মানেই ভোরের ডগমগ সূর্য, সোনালী আকাশ,
বঙ্গবন্ধু মানেই মুক্তিযুদ্ধের গর্বিত ইতিহাস।
বঙ্গবন্ধু মানেই ক্ষুধা, নির্যাতন, শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার,
বঙ্গবন্ধু মানেই আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বনির্ভর।
বঙ্গবন্ধু মানেই লাখো বীরাঙ্গনার নিরাপদ আশ্রয়,
বঙ্গবন্ধু মানেই জয় বাংলা, বাঙালির জয়।
বঙ্গবন্ধু মানেই এই ভূখণ্ডে অসংখ্য বীরের অমরগাঁথা,
বঙ্গবন্ধু মানেই আমাদের প্রাণের স্বাধীনতা।
বঙ্গবন্ধু মানেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি,
বঙ্গবন্ধু তোমায় জানাই বিনম্র শ্রদ্ধায়, শ্রদ্ধাঞ্জলি।
খোকা তুমি বঙ্গবন্ধু – ইয়াসিন আহমেদ
শৈশব কেটেছে আদরের,
মা-বাবার হৃদয় আদলে।
ছেলে ছিল নক্ষত্র, জানতো না সে তখন,
হবে যে সে সবার স্বাধীনতার প্রাপ্য জীবন।
ছেলে তুমি নক্ষত্র জাতির আশার আলো,
খোকা নামে তোমায় শুনতে লাগে ভালো।
ছেলে তুমি আওয়াজ তুলে ছিল সেদিন,
খোকা বলেছিলে ছাদ মেরামত করবে শীগ্রই যেদিন।
ছেলে তুমি সবার মনে বেঁধে ছিলে ঘর,
খোকা সেদিন দেখে ছিল দারিদ্র অনটল।
ছেলে দাড়াতে চেয়ে ছিল দারিদ্র মাঝে,
খোকা তো! তাই বয়স দিচ্ছিলো নাহ নিজ পানে।
ছেলে হল বড় দিল যৌবণে পা,
খোকার মাথায় ঘুরছে করবে কিছু হবে নাকো পিছু পা।
ছেলে হলো নেতা সবে! সব মোকাবেলা করে,
খোকা হটাৎ থমকে! শুরু তো এবার যুদ্দে।
ছেলে এবার দিল ভাষণ,
খোকার কোথায় কোটি প্রাণ দিলো গর্জন।
ছেলে তুমি সবার মনে রবে, তুমি বীর হয়ে,
খোকা তাই তো! তুমি বীর নাহ শুধু, নহে।
খোকা তুমি জাতির পিতা
লাখো কণ্ঠে গর্জিত ধনী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
ধন্য পিতার এই ধন্য দেশে
গর্বিত আমি, ধন্য আমি বাঙালি হয়ে।
বঙ্গবন্ধু তুমি – আবু জাফর বিঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
তুমি এ বাঙ্গালী জাতির পিতা,
আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে তোমার গুনের
কথা লেখার নেই ক্ষমতা।
তোমার নিয়ে যুগযুগ ধরে
লিখবে কত কবি তাদের কবিতা,
তুমি যে সংগ্রাম করে এনেছো
বাঙালির স্বপ্নের স্বাধীনতা।
৭মার্চে রেসকোর্স ময়দানে
তুমি দিয়েছিলে অগ্নিঝরা ভাষন,
সাড়ে সাতকোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ
করে ভেঙে দিয়েছিলে সেই দুঃশাসন।
ক্ষুধা, নিপীড়ন, নির্যাতন, শোষণের
বিরুদ্ধে সহ্য করেছিলে কত ব্যাথা,
গোটা জাতির সামনে একটাই পথ
আর প্রণের দাবী, শুধুই স্বাধীনতা।
তাই বাঙালি জাতি হলো ক্ষব্ধ
আর তখনি শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ,
মুক্তিকামি বাঙালিকে পারল না
দাবাতে, পারল না করতে গৃহরুদ্ধ।
লাখো শহীদের রক্তেরাঙা ভূখণ্ডে
সৃষ্টি হলো অসংখ্য বীরের অমরগাঁথা,
পৃথিবীর মানচিত্রে আঁকা হলো নতুন
একটি সীমানা, পেলাম স্বাধীনতা।
বঙ্গবন্ধু থেকে বাংলাদেশ – জসিম উদ্দিন জয়
পৃথিবীতে একটি জাতি একটি ভাষা একটি দেশ,
বাঙালী, বাংলা ও বাংলাদেশ ।
একটি স্বাধীনতা একটি নাম আজীবন বহমান,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ।
১৯২০ সালে জন্ম মুজিব টুঙ্গিপাড়ায় বাড়ি ,
নিপীরিত বাঙালির মুক্তির দিশারী।
বীর মুজিব ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে লড়ে,
মিশনারী স্কুলে তখন ৮ম শ্রেণীতে পড়ে।
অবিসংবাদিত নেতা মুজিব জাগ্রত জনতার তরে,
জীবনে প্রথম মুজিব কারাবরন করে।
বাঙালীর ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামে ছিলো অবিরত,
জেল-জুলুম আর অত্যাচারে হয়েছে কত-ক্ষত।
—
৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামীলীগ গঠন করে,
৪৭ এর দেশ ভাগের আন্দোলনে লড়ে।
৫২‘র ভাষা আন্দোলন, ৬৬‘র ছয়দফা আন্দোলন,
৬৯-এ গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে ৭০ এর নির্বাচন।
পাক-হানাদার পাকিস্তানীদের কত-শত শোষন,
প্রতিবাদে রেসকোর্স ময়দানের জ্বালাময়ী সেই ভাষন।
৭মার্চের অগ্নিঝড়া সেই ভাষন ছিলো সঠিক এবং শুদ্ধ
যার আহ্ববানে মুক্তির লড়াইয়ে শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ ।
যুদ্ধ জয়ে স্বাধীনতা এসেছে, এসেছিলো তোমার ডাকে,
শান্তির পায়রা স্বাধীন দেশে উড়ঁছে ঝাঁকে ঝাঁকে,
নিষান উড়িঁয়ে কিশোরী দেখো বাংলার ছবি আঁকে।
স্বপ্নদিয়ে গড়েছিলো মুজিব সোনার বাংলাদেশ ।
বিশ্বের কাছে রূপকার তুমি স্বাধীন বাংলাদেশ ।
তপ্ত বুলেটে, ১৫ আগষ্ট, ৭৫‘এর এক কালরাত্রী,
সপরিবারে নিহত হন সর্বকালের এই অবিযাত্রী ।
নেতা মুজিব জীবন দিয়ে বাঙ্গালীকে করেছে মুক্তি,
জাগ্রত মানোবোতা আর অসাম্প্রদায়িকতার শক্তি
—
যতদিন রবে বাংলার মানচিত্র পৃথিবীতে বহমান,
পাহাড় চুড়ায় দাঁড়িয়ে তুমি, শেখ মুজিবুর রহমান ।
তোমার কাছে বাঙালীর-বাংলাদেশ থাকবে চির-দেনা,
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু ও মুজিব-সেনা।
বাংলার বাঙ্গালী উচ্চকর শীর,
বাহুতে যত বল, গর্ব করে বল ।
আমার পরিচয় আমি বাঙালী
বাংলা আমার ভাষা, আমার দেশ বাংলাদেশ,
আর বঙ্গবন্ধু মানেই,
অন্ধকারে আলোর মশাল একটি বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু-উজ্জল ভাস্কর – আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান
পাকিস্তানি সামরিক জান্তার শোষন বঞ্চনায় বাংলার মানুষ হয়রান,
বাংলার মাটিতে উদিত হলো উজ্জল ভাস্কর শেখ মজিবুর রহমান।
অমূল্য সেই প্রভাত উষার আলো ছটায় বাংলাদেশ হলো উদভাসিত,
আপামর জনতা তেমনি এগিয়ে এলো তিমির রাত্র বিদায়ে মুখরিত।
দীর্ঘ দিনের হাহাকার শোষন বঞ্চনার দিশারি বঙ্গন্ধুর নয়ন পানে,
বাঙ্গালী জাতি নব উদ্ধমে জড় হলো নুতন দিগন্তের শুভ শানে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু গেয়ে গেলেন শোষন নিপিড়ণের প্রতিবাদে,
বাংলার নারী-পুরুষ জড় হলো দাবি আদায়ের আন্দোলন তাগিদে।
স্বাধীন বাংলাদেশের সুন্দর স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর সুদূর চির প্রত্যাশা,
আপামর দেশ জনতা বুকে নিল যেন বঙ্গবন্ধুকে মুুক্তির বল ভরশা।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্ব নিপিড়িত শ্রেনী মানুষের নির্ভিক বজ্র কন্ঠস্বর,
তাঁহারই কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বহুমুখী উন্নয়নে তৎপর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে চলেছেন সুন্দর স্বর্ণালী দিগন্তে,
আমরা এলাম নুতন দিনের নবচেতনায় প্রত্যাশা পূরণের স্বপ্নে।
দেশরত্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মোদের দীপ্ত সাহস প্রতীক,
লাল সবুজের স্বাধীন বাংলাদেশ অদ্য সুন্দর সতেজ ম্লান অতীত।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটদের কবিতা
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটদের কবিতা খুজছে? চিন্তা করবেন না। নিম্নে কিছু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটদের কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো।
বঙ্গবন্ধু – মুহম্মদ কবীর সরকার
বৃত্তের যেমন মধ্যমনি
ক্ষুদে একটি বিন্দু,
তেমনি তুমি বঙ্গমনি
ওহে বঙ্গবন্ধু।
বিন্দু ছাড়া যেমনি
বৃত্তের অস্তিত্বহীন,
তুমি ছারা তেমনি
বাংলা হতো না স্বাধীন।
বৃত্তের যেমন চিত্তপটে
রয়েছে এই বিন্দু,
তুমি ও আছো বাংলার মাঠে
ওহে বঙ্গবন্ধু।
রয়েছো এই পদ্মার জলে
রয়েছো মোর চিত্ততলে।
আজজের শিশু যতো খুশি
আঁকতে পারো বৃত্ত,
নাচতে পারো যতো খুশি
বাঁধ ভাংগা এই নৃত্ত,
গেয়ে বাংলার গান,
তোমাদের মাঝে বঙ্গবন্ধু
রয়েছে বিরাজমান,
তোমার আমার প্রিয় বন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা আবৃত্তি
উপসংহার
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা নিয়ে লেখা এই ছিল আমাদের আর্টিকেল। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে সেই সম্পর্কে মতামত জানাতে কমেন্ট করুন। আপনি যদি আপনার লেখা কোন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা আমাদের এই আর্টিকেলে যুক্ত করতে চান তাহলে কবিতাটি কমেন্টে লিখে সাবমিট করুন। আমরা চেস্টা করব আপনার নাম সহ আর্টিকেলে কবিতাটি যুক্ত করার।