২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস কবিতা | ২৫ মার্চ কালো রাত কবিতা
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস কবিতা নিয়ে লেখা এই আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম। আপনি যদি ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস কবিতা খুঁজে থাকেন তবে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাকে অনেক সহায়তা করতে পারবে। এই আর্টিকেলটিতে এ সংক্রান্ত অনেক সুন্দর সুন্দর কবিতা পাবেন।
২৫ মার্চ বাংলাদেশে গণহত্যা দিবস হিসাবে পালিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি বাহিনীরা গণহত্যা চালায়। আর এই গণহত্যার তারা নাম দেয় অপারেশন সার্চ লাইট।
আরো পড়ুনঃ
- [Mp3 + Video] বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ লিখিত Pdf Download
- ২৬ শে মার্চ এর কবিতা | স্বাধীনতা দিবসের কবিতা
- ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস রচনা
- ২৬ শে মার্চ এর স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, ছবি
আপনি যদি নিজের পড়ার কারণে কিংবা অন্য কোন উদ্দেশ্যে (যেমনঃ আবৃতি) ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস কবিতা বা ২৫ মার্চ কালো রাত কবিতা খুঁজে থাকেন তবে আর্টিকেল থেকে একে একে কবিতাগুলো দেখে নিন।
Table of Contents
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস কবিতা | ২৫ মার্চ কালো রাত কবিতা
চলুন একে একে এ সম্পর্কিত কবিতাগুলো দেখে নেয়া যাক। কবি ও কবিতার নামসহ কবিতাগুলো দেখে নেওয়া যাক।
১৯৭১ কালো ২৫ শে মার্চ – মনিরুজ্জামান জীবন
১৯৭১ সালের কালো ২৫শে মার্চ ছিল,
অন্ধকারাচ্ছন্ন এক ভয়াল রাত।
অপারেশন সার্চ লাইটের নামে ১৯৭১,
ওরা বাঙালীদের করেছে নিপাত।
মেরেছে ৩০ লক্ষ মানুষ, করেছে লুটপাট,
নির্বিচারে পাকিস্তানি সৈনিক চালিয়েছে গুলি।
১৪ই ডিসেম্বরে বুদ্ধিজীবীদের নিধন করা হয়েছিল,
নিয়েছে ইজ্জত দুই লাখ মা বোনের, উড়িয়েছে খুলী।
এমনি করে টানা নয় মাস
চলেছে অত্যাচার।
বীর বাঙালীরাও বসে ছিলনা
হাতে তুলে নিয়েছিল হাতিয়ার।
৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে
আমাদের হয়েছে জয়।
১৬ই ডিসেম্বর তারা করেছে আত্নসমার্পন,
কারণ মনে ছিল মরনের ভয়।
সেই বাঙালীর উত্তরসরী তুমি,
মাথা নীচু করে কেন হাঁটো।
যুদ্ধাপরাধী – আছে যত বাংলাতে সব যাবে ভেসে,
১৯৭১ এর ন্যায় আবার গর্জে যদি ওঠে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস – অধ্যাপক আব্দুস সালাম
শোন গো মানুষ শোন,
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কিছু শোন।
৭ মার্চে ভাষণ দিলেন শেখ মুজিবুর রহমান,
বহু বহু গুণ বাড়ালো ত্রাসন সেই খুনি ইয়াহিয়া খান।
প্রতিটি সদন বাঙালি নিধন যজ্ঞ চালালো হানাদার,
প্রতিটি শহর তাদের দোসর ছিলো এদেশের রাজাকার।
বাঙালি নিধন যজ্ঞ চালালো পাকহানাদার বাহিনী,
২৫ মার্চ হতে চলিল যজ্ঞ শুরু হয়ে গেলো কাহিনী।
যারে যেথা পায় ধরে নিয়ে যায় বধ্যভূমির কিনারায়,
ঘরণী ও বধূ যারা ছিলো শুধু নিরুপায় ও অসহায়।
চিনিতো না তারা চিনাইলো যারা বদর-সামস্-রাজাকার,
এরা দ্বারে দ্বারে প্রতি ঘরে ঘরে মোতায়েন ছিলো প্রতিহার।
ভারতে তখন করিতো শাসন ইন্দিরা গান্দী সরকার,
উদারতা তার ছিলো যে অপার মানুষের প্রতি সবাকার।
ছাত্ররা আর পুলিশ-বিডিআর, তিন সেনাদল বাহিনীর;
শরণার্থী আর জনআপামর আশ্রয় পেলো জননীর।
পরম দীক্ষা সমর-শিক্ষা গেরিলা তৎপরতা,
যদ্ধের খবর দিয়েছে জবর স্বাধীন বেতার বার্তা।
সামরিক গান করিয়াছে দান উৎসাহ ও উল্লাস,
ত্রিপলে ঢাকিয়া বহন করিতো হানাদারদের মৃতলাশ।
এই ভাবে হয় যুদ্ধে বিজয় ১৬ই ডিসেম্বরে,
সহযোগিতায় মিত্র বাহিনী; মনে রবে চিরতরে।
৯৩ হাজার শত্রু বাহিনী করিলো আত্মসমর্পণ,
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর এই ছিলো মনে পণ।
শহীদদের স্মরণে – আলাল ইসলাম
৭ মার্চের ভাষণের জের ধরে
ভয়াল ২৫- মার্চ মধ্যরাতে
ঢাকার বুকে পাক হায়না,
বর্বর হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে।
কালো রাতের আঁধার কেটে
২৬- মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে,
কালুরঘাট বেতার হতে
স্বাধীনতার ঘোষণা আসে।
নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে
বুকের তাজা রক্তে,
লাল সবুজের পতাকা উড়ে
বাংলার আকাশে।
সালাম হাজারো সালাম
বায়ান্ন থেকে একাত্তরে
দেশের তরে করা সংগ্রামে
যারা অন্বিত ছিলে।
যাদের প্রাণের বিনিময়ে
স্বাধীনতা পেলাম,
এই দিবসে তাদের তরে
শ্রদ্ধা রেখে গেলাম।
পঁচি’শে মার্চ এলে-ই – তানভীর কালাম আজীমি
পঁচি’শে মার্চ এলে-ই মনে পড়ে সেই
ভয়াল কালো রাতের কথা
গভীর কান্নায় অঢেল ধিক্কারে
পাক হানাদার-কাপুরুষদের জানিয়ে ঘৃণা
মিছিলে, মিটিং-এ ভরে উঠে
মৃত অমানবিক শহরের সব অলিগলি,
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা থৈ’থৈ করে
নয়নের নোনা জলের বন্যায়,
সুরেলা আবেগী মুর্ছনায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে
নেতারা দেয় মনোমুগ্ধকর ভাষণ
কবি লিখে যায় অভিধান সাজানো কবিতা
দেশ নিয়ে চিন্তার পাহাড় মাথায় তুলে
শত সহস্র চেতনা জাগানো বিবৃতি দিয়ে
আগামীর অগণিত পদক্ষেপ নিয়ে
অবসান হয় দিবসের কোলাহল।
অতঃপর ……
খবরের কাগজের রঙ্গিন পাতার ভাঁজে
ছাপিয়ে সেই প্রত্যাশিত আগামীর স্বপ্নগুলো
বিক্রি হয় দশ টাকায়।
স্বাধীন হয়েছি আমার পরাধীন হয়েছে দেশ,
অসহায় মানুষের নির্মম পরিণতি
চোখের পাতায় অশ্রু হয়ে ঝরে
কুসীদ ও ঘুষের বাজার বেড়ে উঠে তুঙ্গে
পথে ঘাটে মরে মানুষ অবহেলায়,অনাহারে
দেশের ভালোবাসা পালায় নির্বাক হয়ে
স্বার্থের জানালা দিয়ে,
বেড়ে যায় ধর্ষণের অনুপাত,
আমরা অসহায় চেয়ে চেয়ে দেখি
রাজনৈতিক ও অমানবিক বিভ্রান্ত কর্মকান্ড
দুর্নীতিবাজ চাটুকার দালালের হাসি
স্বাধীন দেশে অস্বাধীনতার জয় জয়কার,
মনে মনে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ভাবি,
আমরা কি আজো সত্যি স্বাধীন হয়েছি
নিজেদের-ই বর্বরতা থেকে …………
কালরাত্রি – অনিমেষ বিশ্বাস
ওরা একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল,
ওরা রাতের করাল আধারে
হায়েনার বেশে,হেনেছিল বিষাক্ত ছোবল।
ওরা চেতনার গলা টিপে ধরে
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ছিনিয়ে ,
একটি জাতিকে করতে চেয়েছিল মেরুদণ্ডহীন ।
গভীর নিশীথে তমশার ভয়াল রূপে
ওরা পাক হায়েনার দল,বর্বর
নৃশংস রাত্রির ভয়ঙ্কর ইতিহাস গড়ে;
রনসজ্জার বহরে দিন শেষে,
শৃগালের ন্যায় ঘুমন্ত জাতির উপর করেছিল
ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য আক্রমণ ,
25 শে মার্চ একটি রক্তেভেজা কালরাত্রি।
উপসংহার
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস কবিতা নিয়ে এই ছিল আমাদের আর্টিকেল। আশা করছি আর্টিকেলে থাকা কবিতাগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে। কবিতাগুলো আপনার কাছে কেমন লেগেছে সেই সম্পর্কে মতামত জানাতে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে থেকে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের আরো অনেক কবিতা সম্পর্কিত আর্টিকেল পেতে।