এডসেন্স রিজেক্ট হয়েছে? এডসেন্স রিজেক্ট হওয়ার কারণ এবং তার সমাধান
আপনি আপনার ওয়েবসাইটের মনিটাইজেশনের জন্য এডসেন্সে এপ্লাই করেছেন আর এডসেন্স রিজেক্ট করে দিয়েছে? এখন আপনার কী করা উচিত? আর কেনই বা এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটকে রিজেক্ট করেছে। এই সকল কিছু নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি।
ওয়েবসাইটে এডভারেজমেন্ট বসিয়ে আয় করা অনেক পুরাতন এবং কার্যকারী একটি উপায়। আর যদি এই এডভারেজমেন্ট নেটওয়ার্ক গুগল এডসেন্সের হয় তাহলে তো আর কোন কথায় নেই। তাই না?
গুগল এডসেন্স আপনার আমরা প্রায় সকলের পছন্দনীয় একটি এডস নেটওয়ার্ক। আর এটি পছন্দ হওয়ার সবচেয়ে বড় একটি কারণ হলো এর হাই সিপিসি (High CPC) বলে আমি মনে করি। অন্যান্য এডভারেজমেন্ট নেটওয়ার্কের চেয়ে এর সিপিসি অনেক বেশী।
যাই হোক না কেন। এসব কথা বাদ দিয়ে এখন টিউনের মূল বিষয়ে আসা যাক। তবে এই টিউনটি পড়ার আগে এডসেন্স নিয়ে পাবলিশ করা এই দুইটি টিউন পড়ে নিবেন। যদি আগে পড়ে নিয়ে থাকেন তাহলে এই টিউনটি পড়া অব্যহত রাখুন।
এডসেন্স সম্পর্কিত আরো কিছু আর্টিকেল। এডসেন্স সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানার জন্য আর্টিকেলগুলো পড়ুন –
- গুগল এডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স নিয়ে বিস্তারিত জানুন
- এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করার আগে যে কাজগুলো করবেন
- গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করার আগে করণীয়
- গুগল এডসেন্স কত ক্লিকে কত টাকা দেয়?
Table of Contents
এডসেন্স রিজেক্ট হওয়ার কারণ
আপনার ওয়েবসাইট এডসেন্স রিজেক্ট হওয়ার অনেক কারণ আছে। তবে সহজভাবে বলতে গেলে আপনার ওয়েবসাইট এবং আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট এডসেন্সের পলিসি মোতাবেক না থাকে অথবা, আপনার ওয়েবসাইট যদি এডসেন্সে কোন পলিসি ভঙ্গ করে তাহলে আপনার ওয়েবসাইট এডসেন্স থেকে রিজেক্ট হবে। এবার চলেন আপনার ওয়েবসাইটের মনিটাইজেশন রিজেক্ট করার কারণগুলো জেনে নেই এবং এর সাথে সাথে এডসেন্স রিজেক্ট সমাধানও।
আরো একটি এডসেন্স অ্যাকাউন্ট থাকলে
আপনার যদি আরো একটি এডসেন্স অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে এডসেন্স আপনার সাইট রিভিউ করার আগে রিজেক্ট করে দিবে। তাই দুইটি এডসেন্স অ্যাকাউন্ট না তৈরি করে আগে এডসেন্স দিয়ে এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করুন।
এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে আগের এডসেন্স অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিন তাতেই আপনার সমস্যার সসমাধান হয়ে যাবে।
কন্টেন্ট পলিসি
আপনার ওয়েবসাইটে কোন কনটেন্ট যদি এডসেন্সে পলিসি ভঙ্গ করে তাহলে এই ইস্যু দেখিয়ে আপনার ওয়েবসাইটকে মনিটাইজেশনের জন্য রিজেক্ট করে দিবে। এডসেন্স কন্টেন্ট রেস্টিকশন সম্পর্কে আমরা কিছু কথা ২য় টিউনে আলোচনা করেছিলাম। আর ওই টিউনটি পড়ে নিবেন (উপরে লিংক দেওয়া আছে)। আপনি যদি আপনার এডসেন্স অ্যাকাউন্টে লগিন করেন তাহলে এই বিষয়টা নিয়ে কিছু কথা লেখা থাকবে।
তাহলে এখন আপনার করনীয় কি? সহজ কথায় আপনার ওয়েবসাইটে যেসকল কনটেন্ট এডসেন্সের পলিসি অনুযায়ী যায় না সেগুলো মুছে ফেলুন। মুছে ফেলার দুই থেকে তিন দিন পর আবার এপ্লাই করুন। আবার এপ্লাই করা জন্য এডসেন্সে লগিন করলে একটা চেক বক্স পাবেন ওখানে মার্ক করে সাবমিট করে দিবেন।
নতুন সাইট হলে
আপনার ওয়েবসাইটি যদি একেবারে নতুন হয়ে তবে এডসেন্স Site Under Construction ইস্যু দেখিয়ে রিজেক্ট করে দেবে। এই ব্যাপারে আমরা দ্বিতীয় টিউনে আলোচনা করেছি তাই নতুন করে আর কিছু বলব না।
তবে, আন্ডার কন্সট্রাকশন ইস্যু হওয়ার আরো কিছু কারণ আছে যেমনঃ
- সাইটে দৈনিক কাস্টমাইজ করলে
- প্রতিনিয়ত থিম পরিবর্তন করলে
- দৈনিক নতুন ফিচার যুক্ত বা বাদ দিলে
তাই এমনটা করা বাদ দেন। যা করার একবারে কমপ্লিট করে এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করুন। আর সাইটে বয়স মিনিমাম যেন ৩ মাস হয় (ব্যাক্তিগত মতামত)।
এডসেন্স রিজেক্ট হলে কী করবেন?
বারবার যে কথাটি বললাম, ইস্যু ফিক্স করে রি-সাবমিট করবেন। এর থেক বেশী কিছু করার আর কোন দরকার নেই। প্রয়োজনে কোন অভিজ্ঞ লোকের পরামর্শ নিন। আর, এডসেন্স পেতে আগের মতো আর এখন আর কাঠ-কয়লা পোড়াতে হয় না। শুধু, আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলোতে ফোকাস করুন।
শেষ কথা
এডসেন্স রিজেক্ট হলে আর এডসেন্সের এপ্রোভাল পাবেন না তা কিন্তু নয়। এডসেন্স রিজেক্ট দেওয়ার পর যে কারণে এডসেন্স রিজেক্ট দিয়ে তা যদি সমাধান করে পুনারায় আবেদন করেন তাহলে Adsense Approval পেয়ে যাবে। আর অবশ্যই ভালোমানের কনটেন্ট আপনার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার চেস্টা করুন সহজে এডসেন্স পাওয়ার জন্য।
এই ছিল আজকের টিউন আশা করছি আপনার ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আর পরবর্তী টিউন আপনি কী নিয়ে চান তাও কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারবেন। আমি চেস্টা করব সেই বিষয়ে টিউন পাবলিশ করার জন্য।