NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে দেখে নিন
NID/ ভোটার আইডি কার্ড/ জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে আপনার কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা দেখার/ চেক করার পদ্বতি জেনে নিন
আসসালামু ওয়ালাইকুম। আশা করছি ভালো আছেন। স্বাগতম আপনাকে টিউনবিএনের নতুন আরেকটি আর্টিকেলে। এই আর্টিকেলটি থেকে NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানব।
Sim অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও দরকারি একটি ইলেকট্রনিক জিনিস। সিম কার্ড ছাড়া একটি মোবাইলে অচল বলাই চলে। কেননা সিমের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএমএস পাঠানো (SMS), ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া সম্ভব। যদিও বর্তমানে স্মার্টফোনগুলোকে ওয়াইফাই এর সাথে কানেক্ট রেখে এই সুবিধা পাওয়া যায়। তবে, ওয়াইফাই একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত থাকে। কিন্তু সিমের নেটওয়ার্ক ওয়াইফাই এর রেঞ্জের চেয়ে অনেক গুণ বেশী থাকে। এছাড়া ফিচার ফোনগুলোতে এই সুবিধাগুলো থাকে না। তাই ফিচার ফোনে সিমই একমাত্র ভরসা।
- সিম কার নামে নিবন্ধন করা জানার উপায়
- রবি নাম্বার কিভাবে দেখে | How to Check Own Robi Number
- গ্রামীন এমবি অফার ২০২৪ | সাথে ফ্রি ১ জিবি | Grameenphone MB Offer 2024
- গুগল প্লে স্টোরের সকল ফ্রি অ্যাপ ডাউনলোড করুন কোন অ্যাকাউন্ট ছাড়াই!!!
যাই হোক না কেন আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন কোম্পানির আকর্ষণীয় অফার দেখে সিম কিনে থাকি। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫ টি সিম অপারেটর বা মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রয়েছে। এগুলো হলোঃ গ্রামীনফোন, রবি, বাংলালিংক, এয়ারটেল এবং টেলিটক। সব সিম অপারেটর গুলো মোটামুটি ভালো সেবা দিয়ে থাকে।
আগে সিম কিনতে কোন প্রকার NID কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন পড়ত না। ফলে সহজেই যে কেউ ইচ্ছামত সিম কিনতে পারত। আর এই সকল সিমগুলো দিয়ে বিপুল পরিমাণ স্ক্যাম সংগঠিত হতো। কেননা NID কার্ড ছাড়া সিম কিনলে সিমের সঠিক মালিকানার তথ্য পাওয়া সম্ভব হয় না।
তাই এই সমস্যা এড়ানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার সিম কেনার জন্য NID কার্ড দিয়ে সিম রেজিস্টেশন করা বাধ্যতামূলক করে দেয়। তবুও তার পরেও অনেকেই বেশ কয়েকটি সিম কিনে ব্যবহার করে। বেশ কয়েকটি সিম কেনার পর ব্যবহারকারী কি কি সিম কিনেছে তা NID কার্ডের নাম্বার দিয়ে চেক করার ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে ব্যবহারকারীরা তার নামে রেজিস্ট্রেশন হওয়া সিমের লিস্ট সহজেই পেয়ে যায়।
NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে এই সুবিধার ফলে ব্যবহারকারী তার রেজিস্ট্রেন করা সকল সিমের নাম্বার দেখতে পারবে। তাহলে চলুন NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা জেনে নেয়া যাক।
Table of Contents
NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে
নিচে দেখানো ধাপগুলো ফলো করার মাধ্যমে nid দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা আপনি সহজেই বের করতে পারবেন। এটি বের করা অনেক সহজ নিমেষের মধ্যেই বের করতে পারবেন এটি।
জাতীয় পরিচয় পত্র/ ভোটার আইডি কার্ড/ NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা নিচের ধাপগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে জানতে পারবেন। অনেক সহজ একটি পদ্বতি। আশা করছি আপনার কোন সমস্যা হবে না।
Total Time: 2 minutes
ফোনের ডায়াল অপশনে যান
প্রথমে আপনি আপনার ফোনের ডায়াল অপশনে যান এবং *১৬০০১# (ইংরেজিতে *16001#) ডায়াল করুন। অবশ্যই যে কোন একটি সিম কার্ডের প্রয়োজন হবে ডায়াল করার জন্য। যে কোন অপারেটরের সিম নাম্বার ব্যবহার করতে পারেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র (NID) নাম্বার দিন
ডায়াল করার পর আপনার মোবাইলের স্কিনে একটি পপ-আপ ভেসে উঠবে। এখানে আপনার কাছ থেকে NID অর্থাৎ আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের শেষের চারটি ডিজিট চাইবে। আপনার NID কার্ড দেখে শেষের চারটি ডিজিট বসিয়ে সেন্ড (send) করুন।
ফিরতি এসএমএস এর জন্য অপেক্ষা করুন
সেন্ড করার পর আপনি যে NID কার্ডের শেষের চার ডিজিট দিয়েছিলেন সেই NID কার্ড দিয়ে যতগুলো সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তার একটি তালিকা চলে আসবে আপনার ফোনে এসএমএস আকারে। এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন nid দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে।
এটা ছিল USSD কোড ডায়াল করা মাধ্যমে nid দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা চেক করার পদ্বতি। USSD কোড ডায়াল করা ছাড়াও এসএমএস (SMS) এর মাধ্যমেও আপনি চেক করতে পারবেন। SMS এর মাধ্যমে nid দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা চেক করার জন্য নিচের পদ্বতি অনুসরণ করুন।
আপনার ফোনের এসএমএস অপশনে যান এবং সেখানে গিয়ে info লিখে সেন্ড করুন 1600 নাম্বারে। যদি এই পদ্বতি কাজ না করে তাহলে Reg <space> 17 Digit Registration Number লিখে 4949 পাঠিয়ে দিন। উদাহরণঃ Reg 12345678901234567
এভাবে আপনি খুব সহজে nid দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা দেখে নিতে পারবেন। যে সিম নাম্বাগুলো আপনি চেনেন না কিন্তু আপনার NID কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো আপনি ব্লক করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে আপনার NID কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে সিম অপারেটর অফিসে যেতে হবে।
আপনি কি ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে চান? যদি আপনি ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে চান তাহলে পোস্টগুলো পড়তে পারেন –
- পডকাস্ট/ পডকাস্টিং করে আয় করার উপায়
- ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়
- ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটার হবেন? [সম্পূর্ণ গাইডলাইন সহ বিস্তারিত টিউন]
- ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর
- অনলাইনে আয় করার উপায়
NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে সুবিধা
NID/ ভোটার আইডি কার্ড/ জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে এর কিছু সুবিধা নিম্নে উল্লেখ করা হলো –
- ঘরে বসে দেখে নেওয়া যাবে নিজে NID কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রন করা হয়েছে।
- ভুলে যাওয়া সিম নাম্বার সহজেই উদ্ধার করা যাবে।
- যে সিমগুলো নিজে রেজিস্টেশন করিনি সেই নাম্বারগুলো বেছে ব্লক করে নেওয়া যাবে।
NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে অসুবিধা
এই পদ্বতির তেমন কোন অসুবিধা নেই। শুধুমাত্র একটি অসুবিধা মনে হয়েছে আমার।
- রেজিস্ট্রেশন করা মোবাইল নাম্বারগুলো সম্পূর্ণ অংশ দেখাবে না। তিন থেকে চারটি ডিজিট হাইড করা থাকবে। যেমনঃ 01912***890
- অন্য কারো NID নাম্বার জানা থাকলে তার NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে সেটি জানা যাবে যার NID কার্ড তার অজান্তেই।
এই ছিল কিছু সুবিধা অসুবিধা। এবার চলুন এই আর্টিকেলটি নিয়ে কিছু কমন প্রশ্ন ও উত্তর দেখে নেওয়া যাক
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
আপনার আরো কোন জিজ্ঞাসা থাকলে তা কমেন্ট করুন। চেস্টা করব তার উত্তর দেওয়া জন্য।
একটি NID কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা যাবে?
একটি NID কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। অর্থাৎ একজন ব্যাক্তি সর্বোচ্চ ১৫ টি সিম কার্ডের মালিক হতে পারবে।
সিম নাম্বার বন্ধ করব কিভাবে?
যদি কোন সিম আপনার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রন করা থাকে তাহলে আপনি তা বন্ধ করে নিতে পারবেন। এজন্য আপনাকে আপনার আইডি কার্ড নিয়ে সিম অপারেটর অফিসে যেতে হবে।
যেকোন সিম ব্যবহার করে দেখা যাবে?
জ্বি। আপনি যে কোন সিম দিয়ে Nid কার্ডের শেষের চারটি ডিজিট দিয়ে সেই nid কার্ড দ্বারা রেজিস্ট্রেশন হওয়া সকল মোবাইল নাম্বার দেখতে পারবেন।
উপসংহার
এই ছিল NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা নিয়ে আমাদের আর্টিকেল। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি নিয়ে আপনার যেকোন প্রশ্ন ও আর্টিকেলটি নিয়ে আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।
সম্ভব হলে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন আপনার বন্ধু-বান্ধবের সাথে। যাতে করে তারাও এই সম্পর্কে অবগত হতে পারে। এই ধরনের আরো অনেক আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নতুন অবস্থায় কোন ভাষাতে ব্লগিং করা উচিত বাংলায় নাকি ইংরেজিতে
আপনার যদি ইংরেজিতে লেখার দক্ষতা থাকে তাহলে ইংরজিতেই শুরু করতে পারে। বাংলা ও ইংরেজি কোন বিষয় না। মূল বিষয় হচ্ছে রিসার্চ। আপনি সঠিকভাবে রিসার্চ করতে পারলে যেকোন ভাষায় শুরু করতে পারেন। তবে অবশ্যই ওই ভাষায় লেখার দক্ষতা থাকতে হবে।
ট্রান্সলেট ব্যবহার করতে পারি না বাংলা থেকে ইংরেজি করতে