প্রোগ্রাম কি? প্রোগ্রামিং কি? প্রোগ্রামার কি ও কে? প্রোগ্রামিং ভাষা কি, কেন ও কিভাবে প্রোগ্রামিং শিখব? [বিস্তারিত]
প্রোগ্রাম কি? প্রোগ্রামিং কি? প্রোগ্রামার কে? প্রোগ্রামিং ভাষা!! কেন ও কিভাবে প্রোগ্রামিং শিখব? এসব কিছু নিয়ে এই আর্টিকেলটি
প্রোগ্রামিং কি।। আমরা আমাদের কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোনে অসংখ্য বৈচিত্রময় কাজ করে থাকি। লেখালেখি, গান শোনা, ভিডিও দেখা, গেইম খেলা আরো কত কি কাজ! বলে শেষ করা যাবে না। এই সব কাজ করার জন্য আমরা কোন না কোন সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি।
কখনো ভেবে দেখেছেন কী এই সফটওয়্যার বা অ্যাপ গুলো কিভাবে তৈরী হয়েছে? বিভিন্ন সফটওয়্যার বিভিন্ন বিষয় প্রোগ্রাম করা থাকে। আর, প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে এই সব সফটওয়্যার বা এ্যাপ তৈরী করা হয়ে থাকে। প্রোগ্রামারের তৈরী করা এই সব সফটওয়্যার বা এ্যাপ যেমন আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করছে তেমনি কিছু অসাধু প্রোগ্রামারা হ্যকিং এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের তথ্য চুরি, বড় বড় কম্পানি গুলোর সিস্টেম অকেজো সহ আরো অনেক খারাপ/ অসাধু কাজ করছে।
এতে করে যেমন কোম্পানিগুলোন ক্ষতির সম্মুখিন হয় তেমনি সাধারণ মানুষের জীবন আতংকের মধ্যে থাকে। আজ যেহেতু আমরা প্রোগ্রামিং নিয়ে আলোচনা করব তাই হ্যাকিং নিয়ে অন্য কোন দিন আলোচনা হবে। তবে হ্যাকিং রিলেটেড এই পোস্টগুলো দেখে নিতে পারেন –
- ফেসবুক আইডি হ্যাক করার জন্য ৫ টি সহজ এবং ১০০% কার্যকর উপায়
- অসাধারণ ৫টি টুলস অ্যাপ যেগুলো আপনি হ্যাকিং এর কাজে ব্যবহার করতে পারবেন
- Termux দিয়ে Sms Bomb করে Unlimited Sms Sent করুন
Table of Contents
প্রোগ্রামের ধারণা
প্রোগ্রাম, প্রোগ্রামিং এবং প্রোগ্রামার এই তিনটি শব্দ আমরা প্রায়সই শুনে থাকি। এই তিনটি শব্দ একটি আরেকটির সাথে সম্পর্ক যুক্ত। প্রোগ্রামিং ভাষা এবং প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জেনে নেওয়া যাক এই তিনটি বিষয় আসলে কী!
প্রোগ্রাম কি?
কম্পিউটারের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত নির্দেশ (Command) বা নির্দেশের সমষ্টিকে বলা হয় প্রোগ্রাম। প্রোগ্রাম তৈরীর বিশেষ কৌশলকে বলা হয় প্রোগ্রাম।
প্রোগ্রামিং কি?
প্রোগ্রামিং কি তা সহজে বললে, কম্পিউটারকে ইন্সট্রাকশন দেওয়ার প্রক্রিয়া হচ্ছে প্রোগ্রামিং। আরেকটু ভালো করে বলতে যে কোন অটোমেটেড মেশিনকে ইন্সট্রাকশন দেওয়ার প্রক্রিয়া হচ্ছে প্রোগ্রামিং।
প্রোগ্রামার কি ও কে?
যিনি প্রোগ্রামিং করেন তাকে বলা হয় প্রোগ্রামার। প্রোগ্রামারা প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার, এ্যাপ ইত্যাদি তৈরী করে থাকেন।
কম্পিউটার অন করলেই হাজার হাজার ইন্সট্রাকশন কাজ করা শুরু করে। আমরা কম্পিউটার অন করে মিউজিক শুনি, মিউজিক প্লেয়ার একটা প্রোগ্রাম। যার মধ্যে রয়েছে অনেক গুলো ইন্সট্রাকশন। আমরা গেম খেলি। এক একটা গেম এক একটা প্রোগ্রাম। রয়েছে অনেক হাজার হাজার ইন্সট্রাকশন। আর এই ইন্সট্রাকশন গুলো লেখার কাজই হচ্ছে প্রোগ্রামিং।
প্রথম প্রোগ্রামিং ভাষা এবং প্রোগ্রামার
বিখ্যাত ইংরেজ কবি লর্ড বাইরনের কন্যা অ্যাডা লাভলেস (Ada Lovelace) বারনোলি (Bernoulli Number) নাম্বার ব্যবহার করে ধারাবাহিক ভাবে হিসাবের জন্য একটি প্রোগ্রাম রচনা করেন। তার লিখিত এই প্রোগ্রাটি প্রথম প্রোগ্রাম ভাষা হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এজন্য তাকে প্রথম প্রোগ্রামার বলা হয়। পরবর্তীতে এ কাজের স্বকৃতী সরূপ এ্যাডা লাভলেস নামে একটি প্রোগ্রামিং ভাষার নামকরণ করা হয়। যা এডা (Ada) নামে পরিচিত।
মেয়েদের মন বোঝা নয়তো নয় সোজা!! যেহেতু প্রোগ্রামিং একজন মেয়ে তৈরি করেছে তাই এটি বোঝা কিন্তু অত সহজ নয়। একটু জটিল। তবে এটি অনেক মজাদার।
একটি আদর্শ প্রোগ্রামের বৈশিষ্ট্য
আদর্শ প্রোগ্রাম বলতে প্রোগ্রামের যাবতীয় বৈশিষ্ঠ্যকে বুঝায়। একটি আদর্শ প্রোগ্রামের সাধারণত ৫ টি পর্ব থাকে।
আদর্শ প্রোগ্রামের বৈশিষ্ট্য –
- পরিচয় পর্ব
- বর্ণনা
- ইনপুট
- প্রসেস
- আউটপুট
প্রোগ্রামের ভাষা
ভাষা কাকে বলে মনে আছে? মনের ভাব প্রকাশ করার মাধ্যম হলো ভাষা। আমরা ভাষার সাহায্যে তথ্য আদান প্রদান, মনের ভাব প্রকাশ করে থাকি। তেমনি কম্পিউটারেরও একটি নিজস্ব ভাষা আছে। কম্পিউটারের ভাষা হচ্ছে ০ এবং ১। এই দুইটি সংখ্যার মাধ্যমে কম্পিউটারে নিদের্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
কম্পিউটার বুঝতে পারে এমন কিছু নিদির্ষ্ট সংকেত ও চিহ্ন ব্যবহার করে বিশেষ নিয়ম সাজিয়ে প্রোগ্রাম লেখা হয়ে থাকে। প্রোগ্রাম তৈরীর জন্য ব্যবহৃত এ সকল সংকেত, চিহ্ন ও নিয়মগুলোকে প্রোগ্রামের ভাষা বলা হয়ে থাকে। যেমন মানুষের ভাষার ভিন্নতা আছে, তেমনি কম্পিউটারের ভাষার ভিন্নতা আছে। তবে ভাষা যাই হোক না কেন কম্পিউটারকে ০ এবং ১ দ্বারা বোঝাতে হয়। কম্পিউটারের সাথে মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে কম্পিউটারের ভাষা আর, এই কম্পিউটারের ভাষাই হচ্ছে মূলত প্রোগ্রামের ভাষা। বৈশিষ্ঠ্য অনুযায়ী প্রোগ্রামের ভাষাকে ৫টি স্তর (Level) বা প্রজন্মে (Generation) ভাগ করা যায়।
বৈশিষ্ঠ্য অনুযায়ী প্রোগ্রামিং ভাষাঃ
প্রজন্ম | সাল | ভাষা |
---|---|---|
প্রথম প্রজন্ম | ১৯৪৫ | মেশিন ভাষা |
দ্বিতীয় প্রজন্ম | ১৯৫০ | অ্যাসেম্বলি ভাষা |
তৃতীয় প্রজন্ম | ১৯৬০ | উচ্চতর ভাষা |
চতুর্থ প্রজন্ম | ১৯৭০ | অতি উচ্চতর ভাষা |
পঞ্চম প্রজন্ম | ১৯৮০ | স্বাভাবিক বা ন্যাচারাল ভাষা |
উচ্চস্তরের প্রোগ্রাম ভাষা
উপরোক্তে যে প্রোগ্রাম ভাষা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো উচ্চতর প্রোগ্রাম ভাষা নয়। এই প্রোগ্রাম গুলো মানুষের পক্ষে বোঝা কস্টকর। এছাড়াও এই প্রোগ্রাম ভাষাগুলো ব্যবহারের সময় বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিত, ডিবাগিং এ সমস্যা হতো ইত্যাদি। তাই মানুষের ভাষার (যেমনঃ ইংরেজি) সাথে মিল রেখে উচ্চস্তরের ভাষা (High Level Language) এর উদ্ভব হয়। এ ভাষা মানুষ খুব সহজেই দ্রুত বলতে, মনে রাখতে ও লিখতে পারে (এই ভাষা ইংলিশ ভাষার সদৃশ)। তাই ধীরে ধীরে এ ভাষার সম্প্রসারণ এবং জনপ্রিয়তা পায়। তবে, এ ভাষা কম্পিউটার সরাসরি বুঝতে না। তাই অনুবাদক প্রোগ্রামের সাহায্যে একে মেশিন ভাষায় রূপান্তর করে নিতে হয়। কিছু উচ্চতর ভাষার উদাহরণ: পাইথন (Python), Java (জাভা), C/C++ (সি/সি++) ইত্যাদি।
আগেই বলেছি কম্পিউটার ০ এবং ১ ছাড়া কিছুই বোঝে না। তাই অনুবাদ প্রোগ্রামের ব্যবহার করা হয়। উপরোক্ত ছবি তে সাধারণ একটা ক্যালকুলেশন করা হয়েছে। যেটাকে Source Code বলা হয়। তারপর সেটা অনুবাদক (যেমন: কম্পাইলার একটি অনুবাদক) মেশিন ভাষার (০ ও ১) উপযোগি করা হয়েছে!!
যে সংখ্যা পদ্বতিতে সংখ্যা গণনা করার জন্য ২(দুই) টি অংক বা প্রতীক ব্যবহৃত হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্বতি বলে। ০ ও ১ হলো বাইনারি সংখ্যা পদ্বতি। তাই বলা যায় মেশিন ভাষায় বাইনারি সংখ্যা পদ্বতি ব্যবহার করা হয়।
একে উচ্চতর ভাষায় প্রোগ্রাম লেখার Source Code একেক রকম হবে। উপরের ইমেজে যে ক্যালকুলেশন [(a+b)/2] দেখানো হয়েছে তা সি তে লিখলে এক রকম হবে, জাভা তে লিখলে এক রকম হবে আবার, পাইথনে লিখলে আরেক রকম হবে। নিম্নে, (a+b)/2 এর C এবং Python এ Source Code দেখানো হলো।
ধরা যাক, a = 50 এবং b = 10
C প্রোগ্রামিং ভাষায় কোড
#include<stdio.h> #include<math.h> int main { int a=50; int b=10; sum=(a+b)/2; printf("%d, sum"); return 0; }
Python প্রোগ্রামিং ভাষায় কোড
>> a = 50; >> b = 10; >> sum = (int(a)+int(b))/2; >> print(sum);
বিভিন্ন প্রোগ্রাম ভাষায় Source Code আলাদা আলাদা হতে পারে কিন্তু ফলাফল একই রকম হবে এবং অনুবাদক সেই কোডকে ০ ও ১ (বাইনারি) এ রুপান্তর করবে।
বাইনারি কোড
এই কোড দেখতে কেমন হয় সেটি দেখানোর জন্য চিত্রটি যুক্ত করা হয়েছে। (a+b)/2 এর অবজেক্ট কোডের সাথে উপরোক্ত চিত্রের কোন সম্পর্ক নেই। TUNEBN.CO টেক্টটি বাইনারি তে যেমন হবে বা কম্পিউটার এটিকে যেভাবে দেখবে –
01010100 01010101 01001110 01000101 01000010 01001110 00101110 01000011 01001111 01001101
ভাষা | উদ্ভাবক | সাল |
---|---|---|
সি (C) | ডেনিস রিচি | ১৯৭০ |
সি ++ (C++) | বিয়ারনে স্ট্রোভস্ট্রুপ | ১৯৮০ |
জাভা (Java) | জেমস গসলিং | ১৯৯১ |
পাইথন (Python) | গুইডো ভ্যান রোসাম | ১৯৯১ |
পিএইসপি (PHP) | রাস্মুস লারডরফ | ১৯৯৫ |
ভিজুয়্যাল ব্যাসিক (Visual Basic) | মাইক্রোসফট (প্রতিষ্ঠান) | ১৯৯১ |
ওরাকল (Oracle) | ল্যারি এলিসন, এড ওয়াটস ও বব মাইনার | ১৯৭৭ |
অ্যালগল (Algo) | ইউরোপিয়ান ও আমেরিকান বিজ্ঞানীদের যৌথ উদ্দ্যোগে | ১৯৮৫ |
ফোরট্রান (Fortran) | জন ব্যাকাস | ১৯৫৩ |
ক্ষেত্র বিশেষে এক একটি প্রোগ্রাম ভাষা এক এক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমনঃ পিএইসপি সার্ভার-সাইড স্ক্রিপ্টিং-এর জন্য ব্যবহৃত হয়, অ্যান্ড্রয়েড গেম বা এ্যাপ তৈরীতে জাভা ব্যাপক ব্যবহৃত হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
সি (C)
এটি সিস্টেম প্রোগ্রাম তৈরীতে বেশ জনপ্রিয়। সি দিয়ে রচিত প্রোগ্রাম যেকোন অপাররেটিং সিস্টেমের কম্পিউটারে চালানো যায়। ৭০ এবং ৮০ দশকের দিকে সি এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে এর অনেকগুলো ভার্সন তৈরি হয়। যেমনঃ ANSI C, Turbo C, Visual C ইত্যাদি।
সি ++ (C++)
সি ভাষায় নিতুন বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা প্রদান করে পরবর্তি সংস্করণে C++ ভাষায় পরিণত হয়। এতে নতুন যে সুবিধা সংযোজন করা হয় তা হচ্ছে অবজেক্ট ওরিয়েন্ট ফিচার। এ করনে সি ++ কে সি এর বর্ধিত সংস্করণ বা সুপার সেট বলা হয়। টেক্স এডিটর তৈরি, কম্পাইলার ও ইন্টারপ্রেটার তৈরি, ডেটাবেজ হ্যান্ডলিং, কমিউনিকেশন সিস্টেম ডিজাইন, ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম ডিজাইন, রিয়েল-টাইম সিস্টেম ডিজাইন ও উইন্ডোজ ভিত্তিক এ্যাপ্লিকেশনসমূহ সি++ এর অনন্য অবদান। এক্স উইন্ডোজ সিস্টেম, কিউট ইত্যাদির মতোন গ্রাফিক্যাল ডিসপ্লে ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামিং সি++ দিয়ে তৈরি।
জাভা (Java)
জাভা সৃষ্টির প্রেরণা হলো সি++। এটি ক্লাস বেজড ও সম্পূর্ণ অবজেক্ট ওরিয়েন্ট প্রোগ্রামিং ভাষা। প্রথমদিকে এর নাম ছিল OAK এবং এই প্রোগ্রামিং ভাষাটি হ্যান্ডহেল্ড ইলেকট্রনিক ডিভাইসের (হাতে বহনকারী ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র) জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কারণবসত এটি জনপ্রিয়তা পায়নি। পরবর্তিতে এর নাম পরিবর্তন করে এতে WWW এর ফিচার সমূহ যুক্ত করা হয়। ফলে ইন্টারনেটভুক্ত যন্ত্রসমূহে জাভা প্লাটফর্ম নামে নতুন আরেকট পরিবেশ তৈরি হয়। যা সব অপারেটিং সিস্টেমে সাপোর্ট করে।
পাইথন (Paython)
পাইথন একটি মাল্টিপ্যারাডিজম প্রোগ্রামিং ভাষা যা একই সাথে অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড ও স্ট্রাকচার্ড ফিচার সাপোর্ট করে। ডাইনামিক ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনসহ অনেক কিছু তৈরিতে পাইথম প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ইন্সটাগ্রাম পাইথনের এত বড় ফ্যান যে তারা তাদের পুরো সিস্টেমটা পাইথন প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে তৈরি করেছে।
পিএইসপি (Php)
এটি মূলত সার্ভার-সাইড স্ক্রিপ্টিং-এর ভাষা। যা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য বিশেষ উপযোগী এবং এইচটিএমএল আকারে প্রকাশ করা যায়। বর্তমান যুগে ওয়েব অটোমেশনের জন্য এটি একটি বিশ্বস্ত নাম। পিএইচপি একটি জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যার সূচনাই হয়েছিলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য। দিনে দিনে পিএইচপির জনপ্রিয়তা বাড়তে বাড়তে ওয়েব আজ তার আধিপত্য অদ্বিতীয়। বিশ্বের প্রায় ৮২% ওয়েবসাইটই কোন না কোনভাবে পিএইচপির উপর নির্ভরশীল। ফেইসবুকের একটা বিরাট অংশ পিএইচপিতে ডেভেলপ করা।
ভিজুয়াল বেসিক (Visual Basic)
বিখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট ১৯৯১ সালে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম কাস্টমার অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরির জন্য ভিজুয়াল ব্যাসিক নির্মাণ করেন। এটি মূলত বেসিক প্রোগ্রামিং ভাষার “গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস” ভার্সন। এই প্রোগ্রাম ভাষার অনেক ভার্সন তৈরি করা হয় তবে, VB.Net হচ্ছে রিয়েলিটি সমসাময়িক ভার্সন।
ওরাকল (Oracle)
ডেটাবেজ সংক্রান্ত সফটওয়্যার তৈরির সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান ওরাকল কর্পোরেশন। ১৯৭৭ সালে এড ওয়াটস ও বব মাইনারকে সাথে নিয়ে Oracle তৈরি করেন ল্যারি এলিসিন। ওরাকল একটি RDBMS প্রোগ্রাম। সিকিউরিটির দিক দিয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী ও বেশী ডেটা ধারণক্ষম RDBMS হচ্ছে ওরাকল।
অ্যালগল (Algol)
১৯৮৫ সালে ইউরোপিয়ান ও আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী যৌথ উদ্দোগ্যে অ্যালগল (ALGOLrithomic Language) প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ তৈরি হয়। এটি মূলত গবেষণার জন্য। অন্যান্য প্রোগ্রামিং ভাষাকে অ্যালগরিদমের বর্ণনার কাজে সহযোগিতা করত।
ফোরট্রান (Fortran)
এটি একটি আদিমতর প্রোগ্রামিং ভাষা। জন বাকাস ও অন্যান্যেরা আইবিএম-এ কর্মরত অবস্থায় ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি এটি তৈরি করেন। ফোরট্রানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্করণগুলি হচ্ছে ফোরট্রান I, ফোরট্রান II, ফোরট্রান IV, ফোরট্রান ৭৭, এবং ফোরট্রান ৯০। এদের মধ্যে শেষের দুইটির বিবরণ অ্যানসাই মান আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ফোরট্রান ৭৭-ই সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। তবে ফোরট্রান ৯০-এ ভাষাটির ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে; এতে পুনরাবৃত্তি, পয়েন্টার, নতুন নিয়ন্ত্রণ সংগঠন, এবং অনেক নতুন অ্যারে অপারেশন যোগ করা হয়েছে।
প্রোগ্রামিং নিয়ে তো অনেক কিছু জানা হলো। আশা করছি বিষয়টি আপনার কাছে স্পষ্ট হয়েছে। যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। এখন কথা হলো কেন এবং কিভাবে প্রোগ্রামিং শিখব।
প্রোগ্রামিং কেন শিখব?
বর্তমানে সময়ে বিভিন্ন অ্যাপ বা সফটওয়্যার আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিচ্ছে। তাই এই এ্যাপ বা সফটওয়্যার এর কদর দিন দিন বাড়ছে। ফলে ডেভেলপারদেরও চাহিদাও বাড়ছে। তাই প্রোগ্রামিং শিখে আপনি এটি আপনার ক্যারিয়ার হিসাবে বেছে নিতে পারেন। ফলে ঘরে বসে ফ্রিল্যাসিং, আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
কিভাবে প্রোগ্রামিং শিখব?
প্রোগ্রামিং শিখা কোন কঠিন কাজ নয় ধৈর্য, শেখার ইচ্ছা, আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাস থাকলে আপনি প্রোগ্রামিং শিখে হয়ে উঠতে পারেন একজন দক্ষ প্রোগ্রামার। এজন্য অবশ্যই সঠিক গাইডলাইনের প্রয়োজন। আমি পরবর্তীতে চেস্টা করব প্রোগ্রামিং নিয়ে আরো অনেক কনটেন্ট পাবলিশ করার জন্য। প্রোগ্রামিং শিখার জন্য একটি গাইডলাইন এবং আপনাদের অনুপ্রেরণা জন্য একটি কনটেন্ট ইতিমধ্যে আমাদের সাইটে পাবলিশ করা হয়েছে। আপনি যদি কনটেন্ট না দেখে থাকেন তাহলে দেখে নিন – প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করুন এখন থেকেই [সময়কে কাজে লাগান]
উপসংহার
আশা করছি কনটেন্টটি থেকে প্রোগ্রামিং নিয়ে আপনার মনে যত প্রশ্ন ছিল আশা করছি সব কিছুর উত্তর এবং অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। কনটেন্টটি কেমন লেগেছে তা জানাতে কমেন্টের মাধ্যমে জানান টিউনটি কেমন লেগেছে। আর, অবশ্যই কনটেন্টটি আপনার বন্ধু-বান্ধদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিন।
আজ এই পর্যন্তই!! আবারো হাজির হব নতুন কোন টপিক নিয়ে। এই পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন টিউনবিএন এর সাথেই থাকুন। এই ধরনের আরো অনেক আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবাইটে।