Realme C12 লিক এবং এর সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন
Realme C11 বাজার কাঁপাতে না কাঁপাতেই Realme C12 লিক ইতিমধ্যে অনলাইনে চলে এসেছে। RMX2189 মডেল নামের সাথে Realme C12 অনলাইনে লিক হয়েছে। যদিও Realme এখনো এই সম্পর্কে কিছুই বলেনি।
কিন্তু Realme তাদের C সিরিজের ফোনগুলোর উপর ভালোই জোর দিচ্ছে। যাতে করে Lower Mid-Range বাজেটেও গ্রাহকরা রিয়েলমি ফোনেই বেছে নেয়। Realme C সিরিজের ফোন গুলো হলো – C1, C2, C3, C11 । এই সবগুলো ফোন গ্রাহকদের হাতে নাগালে বলা যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে আয় করার ৫ টি উপায়
গত মাসের(জুলাই) শেষের দিক থেকে একের পর এক অনেকগুলো এন্ট্রি লেভেলের ফোন ইতিমধ্যে বাজারে চলে এসেছে। তার ধারাবাহিকতায় Realme C11 বাংলাদেশে অফিশিয়ালি লাঞ্চ করে দিয়েছে। যা সত্যিই গ্রাহকদের মন জয় করতে পেরেছে।
যদি রিয়েলমি তাদের সি১২ ফোনটি বাজারে লঞ্চ করে তাহলে কী সেটি বাজার দখল করে নিতে পারবে? আপনার কী মনে হয়? অনলাইনে Realme C12 লিক অনুযায়ী যা স্পেসিকেশন দেখলাম তা দেখে আমার মনে হচ্ছে এটি অবশ্যই বাজার দখল করে নিতে পারবে।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর
ধৈর্য ধরুন রিয়েলমি সি১১ এর স্পেসিফিকেশন তো বলবই তবে তার আগে বলে নিয়ে চাই, Realme C12 মোবাইল ফোনটি হবে Realme C11 এর আপগ্রেড ভার্সন এবং Realme 5i এর ডাউনগ্রেড ভার্সন। আর, এর দাম আনুমানিক বাংলাদেশি টাকায় ১০,০০০৳ কিংবা এর আশেপাশে কিছু একটা হতে পারে।
শাওমি রেডমি নোট ৯ রিভিউ একটি সাশ্রয়ী মূল্যের চ্যাম্পিয়ন স্মার্টফোন। না দেখলে মিস করবেন
Table of Contents
Realme C12 লিক এর সম্ভাব্য স্পেসিফিকেশন
ডিসপ্লে
Realme C12 লিক অনুযায়ী, ৬.৫” এইচডি প্লাস এলসিডি ডিসপ্লে থাকতে পারে এবং এর রেজ্যুলেশন হবে ৭২০ x ১৬০০ পিক্সেল। যা সত্যিই অসাধারণ এই বাজেটের মধ্যে।
পারফরমেন্স
এই ফোনটির চিপসেট হিসাবে থাকবে MediaTek Helio G35, প্রসেসর Octa core, 2.3 GHz, Cortex A53 এবং গ্রাফিক্স PowerVR GE8320 যা মূলত মিড রেঞ্জ বাজেটের ফোনগুলো দেওয়া হয়ে থাকে।
র্যাম/ রোম
এই ফোনটি সম্ভবত দুইটি ভ্যারিয়েন্টের পাওয়া যাবে। ৩/৪ জিবি র্যাম এবং ৩২/৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। আর, সর্বোচ্চ ২৫৬ জিবির একটি এক্সটার্নাল মেমরী কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
ক্যামেরা
সিঙ্গেল ক্যামেরা সেট-আপের ১৩ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারী ক্যামেরা এবং ৫ মেগাপিক্সেলের ডেপ ক্যামেরা পাবেন। এছাড়াও ফন্ট ক্যামেরা হিসাবে পাবেন ৮ মেগাপিক্সেলের একটি প্রাইমারী ক্যামেরা। ইমেজ রেগুলেশন ১১২৮x৩০৯৬ ।
সেন্সর
ফোনটিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর তো থাকছেই সাথে থাকছে Light sensor, Proximity sensor, Accelerometer । ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের পজিশিন Rear ।
ব্যাটারী
লিক অনুযায়ী বলা হচ্ছে এর ব্যাটারী হবে ৬,০০০ এমএএইচ। যা সত্যিই অসাধারণ এই বাজেটে এর হিউজ ব্যাটারী এমনিতে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করবে।
দাম
আনুমানিক এর দাম হবে বাংলাদেশী টাকায় দশ হাজার (১০,০০০) টাকা।
যদি এই ফোনটি লঞ্চ হয় তাহলে আপনার কি মনে হয় এই ফোনটি নেওয়া উচিত? এবং এটি কি মার্কেটে ভালো একটা জায়গা করে নিতে পারবে? অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সম্ভব হলে এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে টিউনবিএন এর সাথেই থাকুন।