Business

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া | ১০০% কাজে আসবে

আপনি কি ব্যবসা করার জন্য বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা নিয়ে অনুসন্ধান করছেন? যদি করে থাকেন তাহলে নিশ্চিত ভাবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক সহায়ক হতে পারে। আর্টিকেলটিতে আমরা বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করব। এসব ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে আপনি কম সময়ে অনেক বেশী টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়াও এসব ব্যবসা কম পুঁজি দিয়েও শুরু করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এসব ব্যবসার নাম দেওয়া চেস্টা করেছি।

আমাদের দেশ বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বেকার সমস্যা। বাংলাদেশে অনেক অনেক বেকার যুবক রয়েছে যারা চাকরির জন্য অনেক চেস্টা করছে কিন্তু চাকরি পাচ্ছে না। কিছু সার্ভে এর হিসাব মতে বাংলাদেশ বেকার লোক প্রায় ২৭.৯৫ যারা সবাই কর্মক্ষম। বেকার সমস্যার মূল কারণ হলো অধিক জনসংখ্যা, কর্মস্থানের অভাব, সঠিক ব্যবস্থাপনা। বেকার সমস্যা দেশের উন্নায়নের মূল বাধা।

দেশের তরুনেরা যদি চাকরির উপর নির্ভর না থেকে ব্যবসার দিকে ঝুঁকে যায় তাহলে এ সমস্যা থেকে অনেকখানি মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ব্যবসার দিকে ঝুঁকে যাওয়ার আগে তরুনদের উচিত এ সম্পর্কে আরো জ্ঞান অর্জন করা। মার্কেট এনালাইসিস করার ইত্যাদি। যদি সঠিকভাবে এসব কাজ করতে পারে তাহলে অনেক সহজে লাভবান হতে পারবে।

আপনি কি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান। যদি আপনি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অনলাইনে আয় করা সম্পর্কিত এই পোস্টগুলো পড়তে পারেন –

তাহলে চলুন বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। তবে ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এ বিষয়গুলো আগে জেনে নেওয়া নেই।

ব্যবসা শুরু করার আগে

ব্যবসা শুরু করার আগে ব্যবসার প্লানিং

কিছু বিষয় আগে যেগুলো ব্যবসা শুরু করার আগে আমাদের জানতে হবে এবং এসব বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। তা না হলে ব্যবসায় লাভ করতে পারবেন না।

পুঁজি বা মূলধন

ব্যবসা শুরুর আগে অবশ্যই আপনাকে পুঁজি বা মূলধনের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। কত টাকা দিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করবেন এটি আগে ঠিক করতে হবে। আপনার পুঁজি কিছু অংশ যাবে মার্কেটিং এ, পণ্য কেন কাটায়, দোকান নিলে তা ভাড়া দেওয়ায় ইত্যাদি জায়গায়। তাই ব্যবসা অনুযায়ী আগে মূলধন ঠিক করে নেওয়া জরুরী।

মার্কেট এনালাইসিস

আপনি যদি নতুন কোন ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে শুরুতে যে কাজটি করতে হবে তা হলো মার্কেট এনালাইসিস। মার্কেট এনালাইসিস করে দেখতে হবে আপনার এই ব্যবসাটি করে আসলে লাভ করা সম্ভব কি নয় ইত্যাদি ইত্যাদি।

ধরুন আপনি একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকান দেওয়া কথা ভাবছেন। ফ্লেক্সিলোডের দোকান দেওয়া আগে আপনাকে দেখতে হবে আপনার এলাকায় এর চাহিদা কেমন, কত জন্য মোবাইলে প্রতিদিন টাকা ঢোকায় এবং সব কিছুর হিসাবে এই ব্যবসা করে আসলে কি লাভবান হওয়া যাবে কি না। যদি আপনার মনে হয় লাভবান হওয়া সম্ভব তাহলে শুরু করতে পারেন। শুধু যে মার্কেট এনালাইসিস করেই ব্যবসা শুরু করে দিবেন তা কিন্তু নয়। মার্কেট এনালাইসিস এর পর আরো কিছু বিষয়ের দিকে আপনাকে নজর রাখতে হবে।

কম্পিটিটর কেমন

আপনি যে ব্যবসা শুরু করবেন সেই ব্যবসার কম্পিটিটর কেমন তা অবশ্যই আগে আপনাকে দেখে করে নিতে হবে। যদি ব্যবসার কম্পিটিটর অনেক কম থাকে অথবা মিডিয়াম থাকে তাহলে সেই ব্যবসাটি আপনি শুরু করতে পারেন। আর যদি ব্যবসার কম্পিউটার অনেক বেশি থাকে এই ব্যবসা আপনার শুরু না করাই ভালো।

কাস্টমার কেমন

যে ব্যবসাটি শুরু করবেন সেই ব্যবসাটির দৈনিক কাস্টমার কেমন হতে পারে এ বিষয়টিকে আপনাকে দেখতে হবে। কাস্টমার বেশি না থাকলে আপনি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা শুরু করেও লাভবান হতে পারবেন না।

আপনার স্কিল

নতুন কোন ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই আপনার স্কিলের দিকে দেখতে হবে। আপনি যে ব্যবসা শুরু করবেন সে ব্যবসা নিয়ে যদি আপনার স্কিল ভালো থাকে তাহলে সেটি আপনি অনেক ভালো কিছু করতে পারবেন ও সহজেই লাভবান হতে পারবেন। তাই চেস্টা করুন আপনার স্কিলফুল কোন কিছু নিয়ে ব্যবসা শুরু করার। এছাড়াও ব্যবসা শুরু করার পর আপনার স্কিল দিয়ে ব্যবসাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা

তো এবার চলুন বর্তমানে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসাগুলোর নাম ও এসব ব্যবসা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আমি পয়েন্ট আকারে বা সিরিয়াল অনুযায়ী বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার নাম বলব না। প্রথমে কোন ব্যবসার নাম থাকলে মনে করবেন না এটি সবচেয়ে বেশী লাভজনক আবার সবার শেষে কোন ব্যবসার নাম থাকলে মনে করবেন না এটি সবচেয়ে কম লাভজনক।

কাপড়ের ও কাপড় সেলাইয়ের ব্যবসা

কাপড়ের ও কাপড় সেলাইয়ের ব্যবসার ছবি

বস্ত্র অর্থাৎ কাপড় মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম একটি। কাপড়ের চাহিদা মানুষের সারা জীবনই থাকবে। তাই সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করলে সহজেই অনেক লাভবান হওয়া সম্ভব। আপনার যদি পুঁজি সর্বনিম্ন ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা হয় তাহলে আমি আপনাকে এই ব্যবসা শুরু করার পরামর্শ দিব।

কাপড়ের সাথে কাপড় সেলাইয়ের ব্যবসার কথা হেডিংয়ে বলেছি। এর কারণ হলো যদি কেনো ক্রেতা আপনার দোকান থেকে কাপড় কেনে তাহলে আপনার দোকানেই সেই কেনা কাপড় সেলাই করার সম্ভাবনা বেশী থাকে। এতে করে আপনি কাপড় সেলাই করে সহজে বাড়তি কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

গাউছিয়া, গুলিস্থান, গুলিস্তানের মতোন জায়গা থেকে আপনি পাইকারি দামে কাপড় ক্রয় করতে পারবেন।

ইলেকট্রনিক ব্যবসা

ইলেকট্রনিক ব্যবসার ছবি

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসাগুলোর মধ্যে ইলেকট্রনিক ব্যবসা অন্যতম। দেশের মার্কেটে ইলেকট্রনিক পণ্যর চাহিদা অনেক বেশী। আর এই ব্যবসাও অনেক ভাবে শুরু করা সম্ভব। আপনি কি ধরনের ব্যবসা শুরু করবেন এর ভিত্তিতে মূলধন কত হবে তা আপনাকে নির্বাচন করতে হবে।

ইলেকট্রনিক বিভিন্ন এক্সটেনশন যেমনঃ সুইচ, তার, প্লাগ, লাইট ইত্যাদি বিক্রি করার জন্যও ব্যবসা করতে পারেন। এছাড়াও, ইলেকট্রনিক বিভিন্ন প্রোডাক্ট যেমনঃ টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান ইত্যাদি বিক্রিরও ব্যবসা করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে মূলধন বেশী লাগবে।

মোবাইল বিক্রির ব্যবসা

এখন প্রায় সবার হাতে হাতে একটি করে স্মার্টফোন এবং স্মার্টফোনের চাহিদা ব্যাপক। বাংলাদেশের বর্তমানে স্মার্টফোনের মার্কেট অনেক সম্প্রসারিত হয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা যেগুলো আছে তার মধ্যে মোবাইল বিক্রির ব্যবসা অন্যতম একটি। আপনি যদি কোন মোবাইল আপনার স্টোকে নেন তাহলে তা বেচার সম্ভাবনা ৯০% থাকে।

যদি আপনি মোবাইল ফোন বিক্রির ব্যবসা করতে চান তাহলে আমি আপনাকে রিটেইলার হিসাবে মোবাইল বিক্রির ব্যবসা শুরু করার পরামর্শ দিব। এছাড়াও আপনি চাইলে পুরাতন মোবাইল কেনা-বেচার ব্যবসা করতে পারেন।

মোবাইল ফোন বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে চাইলে অবশ্যই ভালো পরিমাণ পুঁজির প্রয়োজন পড়বে। এছাড়াও ভালো লোকেশনে মোবাইল বিক্রির দোকান না খুললে ভালো পরিমাণ সেল বিক্রি করতে পারবেন না।

মোবাইল এক্সেসরিজ বিক্রি

মোবাইল ফোনের মতোন মোবাইল এক্সেসরিজ বিক্রির ব্যবসাও শুরু করতে পারেন। মোবাইল এক্সেসরিজ এর চাহিদা বাজারে অনেক ভালো।

মোবাইল এক্সেসরিজ এর মধ্যে রয়েছেঃ এয়ারফোন, চার্জ, চার্জার ক্যাবল, স্কিন প্রোটেক্টর, ব্যাক পার্ট ইত্যাদি।

মোবাইল ফোনের চাহিদা যেহেতু বাজারে অনেক বেশি তাই এসব জিনিসের চাহিদাও বেশী। সল্প পুঁজি নিয়ে আপনি সহজেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এরপর ধীরে ধীরে ব্যবসাকে বড় করবেন।

আরো পড়ুনঃ

কসমেটিক্স পণ্যের ব্যবসা

কসমেটিক্স পণ্যের ব্যবসার ছবি

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে কসমেটিক্স পণ্যের ব্যবসা অন্যতম। মহিলাদের সাজগোজের কাজের অনেক পরিমাণ কসমেটিক্স প্রোডাক্টের প্রয়োজন পরে। ভালো পরিমাণ পুঁজি থাকলে পাইকারি ভাবে কসমেটিক্স পণ্যর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

যদি পুঁজি কম থাকে তাহলে প্রাথমিক ভাবে খুচরা আকারে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আমাদের দেশের অনেক তরুণেরা এই ব্যবসা শুরু করে অনেক ভালো লাভবান হচ্ছে।

ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশের মতোন এজেন্ট ব্যবসা

একদম সল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করতে চাইলে ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশের মতোন এজেন্ট ব্যবসার বিকল্প হয় না। এই ধরনের ব্যবসা সঠিক লোকেশনে করতে পারলে ভালো পরিমাণ আয় করা সম্ভব। এটিকে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা বলা যায় যদি সঠিক লোকেশনে করা যায়।

আপনি যদি পুঁজি কম থাকে তাহলে অবশ্যই এই ব্যবসা শুরু করার পরামর্শ দিব।

কম্পিউটার বিক্রির ব্যবসা

কম্পিউটার বিক্রির ব্যবসা বর্তমান সময়ে অনেক জাঁকজমক। বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ার সাথে সাথে কম্পিউটার বিক্রির ব্যবসার পরিধি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কম্পিউটার বিক্রির ব্যবসা শুরু করার জন্য অনেক ভালো পরিমাণ পুঁজি প্রয়োজন। রিটেইলার হিসাবে ব্যবাসা করলে এই ব্যবসা থেকে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করা সম্ভব। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে কম্পিউটার বিক্রির ব্যবসা অন্যতম।

ফার্মেসির ব্যবসা

মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে চিকিৎসা অন্যতম প্রধান উপকরণ। চিকিৎসার মূল উপকরণের অংশ হলো ঔষধ। আর এসব ঔষধ পাওয়া যায় ফার্মেসিতে। ফার্মেসির ব্যবসা করতে হলে ঔষধ বিষয়ে জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়। এছাড়াও ফার্মেসী এর ব্যবসা করে হলে সরকার অনুমোদিত লাইসেন্স নিতে হবে।

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে ফার্মেসির ব্যবসা অন্যতম। ভালো পরিমাণ পুঁজি নিয়ে শুরু করলে এই ব্যবসা করে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব।

টাইলস এর ব্যবসা

টাইলস এর ব্যবসার ছবি

টাইলস এর ব্যবসা বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী অনেক লাভজনক। দালান ঘর বাড়ি তৈরির পর পরপরই টাইলস এর প্রয়োজন পড়ে।

এই ব্যবসা শুরু করার জন্য ভালো পরিমাণ পুঁজি থাকা প্রয়োজন। ১৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা থাকলে এই ব্যবসা শুরু করে অনেক ভালো পরিমাণ আয় করা যাবে।

রান্নঘর, ঘরের মেঝে, বাথরুমে ব্যপক পরিমাণ টাইলসের ব্যবহার হয়। আর টাইলসের চাহিদা বাজারে ব্যাপক।

টি-শার্ট প্রিন্ট করার ব্যবসা

কাস্টম ডিজাইনের টি-শার্ট বর্তমান বাজারে ব্যাপক চাহিদা। তাছাড়া খেলাধুলা টি-শার্ট/ জার্সির পিছনে নাম ও নাম্বার লেখার চাহিদাও রয়েছে।

এই ব্যবসা ৫০,০০০ টাকা দিয়ে শুরু করা সম্ভব। জার্সি প্রিন্ট করার মূল উপকরণ হল জার্সি প্রিন্টার। যার দাম ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা মধ্যে এটি অন্যতম একটি। লোকাল মার্কেট ছাড়াও অনলাইনেও আপনি প্রিন্ট করা জার্সি বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।

শেষ কথা

এই ছিল বর্তমান সময়ে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। এই আর্টিকেলে থাকা ব্যবসাগুলোর মধ্যে কোন ব্যবসার আইডিয়ায়া আপনার সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে তা জানাতে ও পোস্টটি নিয়ে মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।

সম্ভব হলে পোস্টটি শেয়ার করুন আপনার বন্ধু-বান্ধবের সাথে যাতে করে তারাও এ সম্পর্কে জানতে ভালো। ধন্যবাদ টিউনবিএনে ভিজিট করে এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন টিউনবিএনের সাথেই থাকুন।

Imran Hossan

I am Imran, a student with the dream of becoming a professional developer, I love to explore, explore, learn interesting things on the Internet.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Hey Dear!! Thank you for visit on TuneBN. Please Disable your AD Blocker to continue browsing.