Lifestyle

ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় [সহজ ও ১০০% কার্যকারী]

ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় নিয়ে লেখা আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম। আপনি যদি সহজে এবং ১০০% কার্যকর ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক সহায়ক হতে পারে।

ব্যাংক লোন নাম শুনেনি এমন মানুষ হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে না। অনেক সময় আমাদের জরুরী প্রয়োজনে অর্থের প্রয়োজন পড়ে। সেই অর্থ যদি আমরা আমাদের আত্মীয় স্বজন্দের কাছ থেকে যোগাড় করতে না পারি বা তাদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত টাকা না পাই তখন ব্যাংক লোন একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। ব্যাংক থেকে আমরা নির্দিষ্ট কিছু টাকা সহজেই পেতে পারি কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এখন এই প্রক্রিয়া অর্থাৎ ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় নিয়ে জানব।

Table of Contents

ব্যাংক লোন কি?

ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন ব্যাংক লোন আসলে কি। সহজ ভাষা ব্যাংক লোন হলো ব্যাংক থেকে টাকা ধার নেওয়া এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা পরিশোধ করা।

আপনার আয়, সম্পত্তি ইত্যাদি জিনিসের উপর নির্ভর করে ব্যাংক আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ঋণ দিয়ে অর্থ লোন দিবে এবং এটি একটি চুক্তির বিনিময়ে হয়ে থাকবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনি ব্যাংকের লোন পরিশোধ না করলে ব্যাংক আপনার যাবতীয় সম্পত্তি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিজ করে দেওয়া ক্ষমতা রাখে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন ব্যাংক লোন কি।

ব্যাংক লোন কত প্রকার ও কি কি?

ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় জানার আগে এটি কত প্রকার তাও আমাদের জেনে নেওয়া আবশ্যক। কেননা এখান থেকে আমরা কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যাংক লোন দিবে তা জানতে পারব।

ব্যাংক লোনের ধরণ অনেক প্রকার হতে পারে। কোন কোন ব্যাংক সব ধরণের লোন দিয়ে থাকে, আবার কোন কোন ব্যাংক নির্দিষ্ট কোন ক্ষেত্রে লোন দিয়ে থাকে। যেমন কৃষি ব্যাংক কৃষদের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ফসলের বীজ, কৃষকদের ব্যাক্তিগত কাজে লোন দিয়ে থাকে। কিন্তু এই ব্যাংক কখনো সাধারণ মানুষকে লোন দিবে না।

এমন আরো অনেক ধরণ আছে ব্যাংকের লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে। এগুলো নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

ব্যাক্তিগত লোন

পরিবার কিংবা ব্যাক্তিগত কোন কাজের জন্য ব্যাংক যে লোন দিয়ে থাকে তাকে ব্যাক্তিগত লোন বলে। একে ইংরেজিতে Personal Loan বলা হয়ে থাকে। যেমনঃ বিবাহ, আর্তিক সমস্যা, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা ইত্যাদির কাছে ব্যাক্তিগত লোন নেওয়া যেতে পারে।

এডুকেশনাল লোন

এই লোন মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনা/ শিক্ষার জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। একমাত্র কোন শিক্ষার্থী ব্যাংকে নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট দেওয়ার মাধ্যমেই ব্যাংক থেকে এই লোন নিতে পারবে। এডুকেশনাল লোনকে স্টুডেন্ট লোনও বলা হয়ে থাকে। বিদেশে পড়াশোনা, কোন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে এই লোন নেওয়া যেতে পারে।

ব্যবসায়িক লোন

ব্যবসায়িক লোন বা ইংরেজিতে Business Loan মূলত কোন ব্যবসায়ীকে দেওয়া হয়ে থাকে। এজন্য অবশ্যই তার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। আপনার ব্যবসার উন্নায়ন, বড পরিসরে ব্যবসা করা জন্য ব্যবসায়িক লোন নেওয়া যেতে পারে। ব্যবসা নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হওয়া কিছু আর্টিকেল –

হোম লোন

বাড়ি তৈরিতে, বাড়ি ক্রয়, অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় ইত্যাদির ক্ষেত্রে হোম লোন নেওয়া হয়ে থাকে। আপনি যদি আপনার বাড়ি তৈরি, ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে হোম লোন নিতে হবে।

অটো লোন

গাড়ি কেনার জন্য যে লোন দেওয়া হয়ে থাকে তাকে অটো লোন বলে। উদাহরণঃ মটরসাইকেল কেনা, Car কেনা ইত্যাদির জন্য আটো লোন নেওয়া যেতে পারে।

প্রবাসী লোন

বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক এই লোন দিয়ে থাকে। যদি আপনি বিদেশে যেতে চান কিন্তু আপনার কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকে তাহলে ব্যাংক থেকে সহজেই এই লোন নিয়ে নিতে পারেন।

কৃষি লোন

কৃষি সম্পর্কিত কাজের জন্য কৃষি লোনের ব্যবস্থা। কৃষি ব্যাংকগুলো সাধারণত এই লোন দিয়ে থাকে। কৃষির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, বীজ, সার ইত্যাদি কেনার ক্ষেত্র এই লোন নেওয়া যেতে পারে।

তাৎক্ষণিক লোন

তাৎক্ষণিক লোনকে কুইক লোন (Quick Loan) বলা হয়ে থাকে। তাৎক্ষণিক কোন প্রয়োজনে ব্যাংকে আবেদন করার মাধ্যমে আপনি ব্যাংক থেকে এই লোন নিতে পারেন।

এসব ছাড়াও আরো অনেক লোনের ধরণ রয়েছে। তবে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশীরভাগ মানুষ এই ধরনগুলো থেকে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকে।

ব্যাংক লোনের প্রকারভেদ

যখন আপন কোন ব্যাংক থেকে লোন নিবেন তখন সেটিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এক লোনের সময়সীমা বলে। সময়সীমার ভিত্তিতে ব্যাংক লোন তিন প্রকারে।

সল্প মেয়াদী লোন

এ লোনের মেয়াদ সাধারণত ১ বছর বা ১ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে। যেমন তিন মাস, ছয় মাস, বারো মাস বা এক বছর। সল্প মেয়াদী লোন সাধারণত পার্সোনাল লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশী দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই লোন আপনি নিতে পারেন।

মধ্য মেয়াদী লোন

লোনের মেয়াদ বেশী বড়ও না আবার বেশী ছোট ও না। এই ধরনের লোনকে মধ্য মেয়াদী লোন বলা হয়ে থাকে। মধ্য মেয়াদী লোনের সময়সীমা সাধারণত ১ বছর থেক ৫ বছর সময়সীমার মধ্যে হয়ে থাকে।

দীর্ঘ মেয়াদী লোন

৫ বছরের বেশী সময়সীমার লোনকে দীর্ঘ মেয়াদী বলে। ব্যবসায়ীক লোনগুলো সাধারণত দীর্ঘ মেয়াদী লোন হয়ে থাকে। তবে আপনি অন্য ক্ষেত্রেও এই লোন নিতে পারবেন।

ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

এবার চলুন আর্টিকেলের মূল বিষয় ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা যাক। এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন ব্যাংক লোন কি, কি কি ক্ষেত্রে ব্যাংক লোন নেওয়া যাবে, ও ব্যাংক লোনের সময়সীমা কি হবে।

ব্যাংক লোন নেওয়ার আগে ঠিক করে নিন আপনি কোন কাজের জন্য ব্যাংক লোন নিবেন ও কত সময়ের জন্য নিবেন। যেমন ধরুন আপনি একজন শিক্ষার্থী এবং আপনি বিদেশে গিয়ে পড়াশুনা করতে চাচ্ছেন। এজন্য আপনাকে ব্যাংক থেকে এডুকেশনাল লোন নিতে হবে। তবে আপনি যদি এজন্য হোম লোন এর জন্য আবেদন করেন তাহলে কিন্তু ব্যাংক আপনাকে তা দিবে না।

তাই ব্যাংকে লোন নেওয়ার আবেদনের আগে লোন নেওয়ার কারণ সনাক্ত করুন এরপর আপনি সেই লোন কত দিনের মধ্যে পরিষোধ করতে পারবেন তা চিন্তা করন। যদি ১ বছরের মধ্যে শোধ করতে পারেন তাহলে সল্প মেয়াদী লোন নিন। ১ বছরের বেশী সময়ে জন্য হলে মধ্যে মেয়াদী লোন নিন। এভাবে সব কিছু সিলেক্ট করার পর ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করুন।

এছাড়া কোন ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে সেই ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। যদি আগে থেকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা থাকে তাহলে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে লোন নিতে পারবেন। আর লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু কাগজপাতি জমা দিতে হবে। বেশী পরিমাণ টাকা লোন নিলে ব্যাংকে কিছু জিনিস জমা রাখতে হবে। যেমনঃ জমির কাগজ, আলংকার, ইত্যাদি মূল্যবান জিনিস।

এছাড়া ব্যাংক লোনের ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যাংক স্টেটমেন্টেরও প্রয়োজন পড়ে। মানে আপনি যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বছরে কত পরিমাণ টাকা লেনদেন হয় তার কাগজ।

সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে আবেদনের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন। এবার চলুন ধাপ আকারে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় জেনে নেই।

  1. কত টাকা ও কি জন্য লোন নিবেন তা প্রথমে চিহ্নিত করুন। যেমনঃ এডুকেশনাল লোন
  2. লোনের মেয়াদকাল বেছে নিন। যেমনঃ ৬ মাস বা এক বছর
  3. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলুন। যেমনঃ ইসলামিক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক
  4. ব্যাংক লোনের জন্য জরুরী কাগজপাতি দিয়ে আবেদন করুন। কি কি কাগজপত্র লাগবে তার তালিকা আর্টিকেলের নিচে পাবেন।
  5. ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা সম্পত্তির কাগজ, স্বর্ণ ইত্যাদি ব্যাংকে বন্ধক রাখার প্রয়োজন পড়লে তা রাখুন।
  6. লোনের টাকা ব্যাংক থেকে নিন।

এই ৬ ধাপে সহজেই ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন। এবাচ চলুন ব্যাংক লোন নিতে কি কি জিনিস/ কাগপত্রের প্রয়োজন পড়বে তা জেনে নেই।

ব্যাংক লোন নিতে কি কি প্রয়োজন পড়বে

ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় তো জেনে নিলেন। এবার চলুন ব্যাংক লোন নিতে কি কি প্রয়োজন পড়বে তা জেনে নেওয়া যাক। এসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো।

ক্রমিক নংপ্রয়োজনীয় ডকুমেন্টপ্রয়োজনীয়তা
আবেদন ফর্ম পূরণআবশ্যক
ভোটার আইডি কার্ড/ পাসপোর্ট (ফটোকপি)আবশ্যক
পিতার ভোটার আইডি কার্ড (ফটোকপি)আবশ্যক
মাতার ভোটার আইডি কার্ড (ফটোকপি)আবশ্যক
পাসপোর্ট সাইজের ছবি (রঙ্গিন)আবশ্যক
নমিনির ভোটার আইডি কার্ড/ জন্ম নিবন্ধন/ পাসপোর্ট (ফটোকপি)আবশ্যক
নমিনির পাসপোর্ট সাইজের ছবি (রঙ্গিন)আবশ্যক
ব্যাংক স্টেটমেন্ট (ফটোকপি)প্রয়োজন পড়তে পারে
ট্রেড লাইসেন্স (ফটোকপি)ব্যাবসায়ীক লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে
১০চেক বুকবিশেষ ক্ষেত্রে
১১বন্ধক/ জমানত রাখার জিনিসপত্রবেশী টাকার লোন হলে

এসব ছাড়াও আরো অনেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগতে পারে। এজন্য যে ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান সেই ব্যাংকের কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে নিন।

সুদের হার

ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় তো জেনে নিলেন। এবার চলুন এ সম্পর্কিত আরো অনেক বিষয় জেনে নেওয়া যাক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো সুদের হার। বাংলাদেশ ব্যাংক আইন ১৯৯১ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী সব ধরনের বিনিয়োগ ও সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ কোন ব্যাংক ৯% এর বেশী সুদ গ্রহন করতে পারবে না। তবে বেশীরভাগ বাংলাদেশী ব্যাংক এর থেকেও কম সুদ রাখে যাতে করে গ্রাহকেরা তাদের সেবা গ্রহণ করে।

ব্যাংক লোনের সুবিধা

ব্যাংক লোনের অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে। এমনি কিছু সুবিধার কথা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

  • প্রয়োজনের সময় সহজেই টাকা পাওয়া যায়
  • আত্ম নির্ভরশীল হতে সহায়তা করে
  • ধীরে ধীরে সময় নিয়ে অর্থ পরিশোধ করা যায়
  • ব্যবসা শুরুতে ভালো পরিমাণ মূলধন পাওয়া যায় ইত্যাদি।

ব্যাংক লোনের অসুবিধা

ব্যাংক লোনের সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এ ধরনের কিছু অসুবিধার কথা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

  • ইসলামিক দৃষ্টিকোন থেকে এটি হারাম। কেননা এটি সুদের সাথে সম্পর্কিত
  • নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লোন শোধ করতে হবে এধরনের চিন্তা মাথায় কাজ করবে। যা মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
  • ব্যাংক লোন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করলে তারা আপনাকে দেওয়া ঋণের বা লোনের অর্থ অনুযায়ী আপনার সম্পত্তি নিয়ে নিবে।
  • লোনের টাকা অনুযায়ী অতিরিক্ত টাকা অর্থাৎ সুদ দিতে হবে।

লোন নেওয়ার জন্য ব্যাংকের তালিকা

ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় তো জানলেই এবার চলুন ব্যাংক লোন নেওয়ার সেরা ১০ টি ব্যাংকের তালিকা দেখে নেওয়া যাক।

ক্রমিক নংব্যাংকের নাম
1Sonali Bank Limited
2Islami Bank Bangladesh Limited (IBBL)
3Eastern Bank Limited (EBBL)
4Dutch-Bangla Bank Limited (DBBL)
5BRAC Bank Limited
6Standard Chartered Bangladesh
7HSBC Bank Bangladesh
8Pubali Bank Limited (PBL)
9Grameen Bank
10Janata Bank Limited (JBL)

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

আর্টিকেলে দেখানো পদ্বতি অনুসরণ করে আপনি কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করুন। এছাড়াও যদি আরো কোন তথ্য বা ডকুমেন্টের প্রয়োজন পড়ে তাহলে কর্মসংস্থান ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এই সম্পর্ক জেনে নিন।

সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

সোনালী ব্যাংক দেশ সেরা একটি একটি ব্যাংক। এই ব্যাংকের পূর্ণ নাম – Sonali Bank Limited। সকল ধরনের সেবা ও লোন এখান থেকে আপনার সহজেই পেয়ে যাবেন। আর্টিকেলে দেখানো ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় অনুসরণ করে আপনি সহজেই সোনালী ব্যাংক হতে লোন পেতে পারেন। এছাড়া যদি আরো কোন তথ্যর প্রয়োজন পড়ে তবে তা আবেদনে যুক্ত করবেন।

সোনালী ব্যাংক হতে লোন নেওয়ার আগে অবশ্যই ব্যাংকে গিয়ে সেখানকার কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবেন। তারা আপনাকে এই বিষয়ে অনেক ভালো সহায়তা করতে পারবেন।

ব্যাংক লোন নিয়ে ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি

ব্যাংক লোন সুদের সাথে সম্পর্কিত। অর্থাৎ ব্যাংক থেকে লোন নিলে আপনাকে অতিরিক্ত কিছু টাকা সুদ হিসাবে দিতে হবে। কিন্তু ইসলামে সুদ হারাম।

আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান।

মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯

এ থেকে বোঝা যায় সুদ হারাম। যেহেতু সুদ হারাম এবং ব্যাংক লোন সুদের সাথে সম্পর্কিত তাই ব্যাংক লোনও ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

এবার চলুন ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি সম্পর্কে কিছু কমন প্রশ্ন ও প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নেওয়া যাক।

কিভাবে একটি ব্যাংক থেকে একটি ঋণ নেওয়ার যোগ্য হব?

কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া যোগ্য হওয়ার সহজ পায় হলো আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট অ আপনার নামের সম্পত্তির পরিমাণ। এই দুইটি যদি আপনার অনেক ভালো থাকে তাহলে যে কোন ব্যংক থেকে ঋণ বা লোন নেওয়ার যোগ্য হবে।

ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কি কঠিন?

ব্যাংক থেকে ঋণ বা লোন নেওয়া মোটেই কঠিন কাজ নয়। ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় নিয়ে লেখা এই আর্টিকেলটিতে থাকা পদ্বতি অনুসরণ করে আপনি সহজেই ব্যাংক থেকে ঋণ বা লোন পেতে পারেন।

আমি কি আমার ব্যাংকের কাছে ঋণ চাইতে পারি?

হ্যাঁ অবশ্যই আপনি আপনার ব্যাংকের কাছে ঋণ চাইতে পারবেন। আপনি যদি এর যোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে তারা আপনাকে ঋণ দিয়ে দিবে।

সকল ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় কি একই?

প্রায় সকল ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় একই। তবে কোন কোন ব্যাংক বেশী ডকুমেন্ট চাইতে পারে। এছাড়া কিছু ব্যাংক আছে যারা নিদির্ষ্ট কিছু মানুষকেই লোন দিবে। যেমনঃ কৃষী ব্যাংক কৃষক ও যারা কৃষি যন্ত্রপাতি কিনবে তাদেরকে লোন দিবে।

একই সময়ে একাধিক ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া যাবে?

ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় অনুযাইয়ী একই সময়ে একাদিক ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া সম্ভব।

উপসংহার

এই ছিল ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় নিয়ে লেখা আমাদের এই আর্টিকেল। আশা করছি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় নিয়ে লেখা এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি প্রয়োজনীয় সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। তবে আপনার যদি আরো কোন জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমি চেস্টা করব আপনার সমস্যার সমাধান দেওয়ার।

এই ধরণের আরো অনেক আর্টিকেল নিয়মিত পেতে ভিজিট করুন আমাদের সাথে। আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু-বান্ধব্দের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ আপনাকে টিউনবিএনে ভিজিট করে আমাদের সাথে থেকে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।

Imran Hossan

I am Imran, a student with the dream of becoming a professional developer, I love to explore, explore, learn interesting things on the Internet.

Related Articles

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Hey Dear!! Thank you for visit on TuneBN. Please Disable your AD Blocker to continue browsing.